১০ জানুয়ারি থেকে ৫৪ ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন

নতুন বছরের শুরুতে পূর্বাঞ্চলের ২৬টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৮ টি মোট ৫৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আসছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের ১৩টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১৬টি ট্রেনের বন্ধের দিনও পরিবর্তন হচ্ছে। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে এ সময়সূচি কার্যকর হবে বলে রেলসূত্রে জানা গেছে।

পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর মধ্যে নতুন সময়সূচিতে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে বিকেল সাড়ে চার টায়, ট্রেনটির বন্ধের দিন সোমবার। সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৬ টা ২০ এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসবে বিকেল ৩ টে ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটির বন্ধের দিন মঙ্গলবার। জয়ন্তিকা ঢাকা থেকে ১২টার পরিবর্তে ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসবে ১১টা ১৫ মিনিটে, ট্রেনটির বন্ধের দিন বৃহষ্পতিবার। মহানগর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে রাত ৯টা ২০ মিনিটে, ট্রেনটির বন্ধের দিন রবিবার। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে, ট্রেনটির বন্ধের দিন রবিবার। অগ্নিবীনা ঢাকা থেকে ছাড়বে ১১ টায় এবং তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। এগারসিন্ধু প্রভাতী কিশোরগঞ্জ থেকে ছাড়বে ৬টা ৩০ মিনিটে। উপবন ঢাকা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে এখন রাত সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে এবং সিলেট থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১১ টায়, ট্রেনটির বন্ধের দিন হবে বুধবার। ব্রহ্মপুত্র ঢাকা থেকে ছাড়বে বিকেল ৬টা ১৫মিনিটে এবং দেওয়ানগঞ্জ থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে আসবে। যমুনা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে এবং তারাকান্দি থেকে ছাড়বে দিবাগত রাত ২ টোয়। এগারসিন্ধু গোধুলী ঢাকা থেকে বিকেল ৬টা ৪০ এবং কিশোরগঞ্জ থেকে ছাড়বে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে, এর বন্ধের দিন বুধবার।

কালনী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে বিকেল ৪ টার পরিবর্তে বিকেল ৩টায় ছেড়ে যাবে এবং সিলেট থেকে ছাড়বে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে, বন্ধের দিন শুক্রবার। হাওড় এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে, বন্ধের দিন বুধবার। আবার মোহনগঞ্জ থেকে হাওড় ছেড়ে আসবে সকাল ৮টায়, বন্ধের দিন হবে বৃহষ্পতিবার। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ১০টা ৪৫ এ ছেড়ে যাবে এবং কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসবে বিকেল ৪টায়, ট্রেনটির বন্ধের দিন শুক্রবার। বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ৮টায়, বন্ধের দিন মঙ্গলবার। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসবে রাত ১১ টায়, ট্রেনটির বন্ধের দিন ধার্যকরা হয়েছে সোমবার।

এদিকে ১০ জানুয়ারি থেকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের ২৮টি ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেসের বন্ধের দিন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে সপ্তাহের প্রতিদিন এই দু’টি ট্রেন ঢাকা-পঞ্চগড় যাতায়াত করবে। নতুন ঘোষণায় ২৮টি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস প্রতিদিন বিকেল সোয়া ২টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে এবং খুলনা থেকে প্রতিদিন ভোর সোয়া ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেম্যে ছেড়ে আসবে। সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছাড়বে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে, খুলনা থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টায়। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং রাত ১১টা ২০মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসবে।

ননস্টপ ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে দুপুর দেড়টায় ছাড়বে এবং ভোর ৬টায় থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসবে। পদ্মা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ১১টায়, রাজশাহী থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ২টো ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে এবং সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসবে। পশ্চিমাঞ্চলে কিছু ট্রেনের বন্ধের দিনও পরিবর্তন হয়েছে। চিলাহাটি থেকে খুলনা রুটে চলাচলরত সীমান্ত এক্সপ্রেস সোমবার ও সান্তাহার থেকে দিনাজপুর রুটে চলাচলরত দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের রোববার বন্ধ থাকবে বলে জানান হয়েছে। রাজশাহী-খুলনা রুটের কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস শনিবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে। রাজশাহী থেকে ঢাকা চলাচলরত ধূমকেতু এক্সপ্রেস শুক্রবারের পরিবর্তে বুধবার এবং ঢাকা গামী ধুমকেতু শনিবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। পাবনা এক্সপ্রেস (রাজশাহী-পাবনা) সোমবার, বনলতা এক্সপ্রেস (রাজশাহী-ঢাকা) শুক্রবার, বেনাপোল এক্সপ্রেস (ঢাকা-বেনাপোল) বুধবার, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ঢাকা-কুড়িগ্রাম) বুধবার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাটল ট্রেন (রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ) বুধবার, ঢালারচল শাটল ট্রেন (ঈশ্বরদী-ঢালারচর) সোমবার এবং টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন (ঢাকা-টাঙ্গাইল) শুক্রবার বন্ধ থাকবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে গোবরা রুটে চলাচলরত টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস সোমবার বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে গোবরা থেকে রাজশাহী রুটে ফিরতি টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।

এবিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, ট্রেনের সিডিউল পরিবর্তন একটা রুটিন ওয়ার্ক। এটি দু এক বছর পর পর করা হয়। তবে এখানে রেলযাত্রাকে আরো নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ করতে সিডিউলের দিকটা আমরা আমলে নিয়েছি। তবে রেলসূত্র জানিয়েছে, ট্রেনের দূর্ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর ক্রসিং যাতে বড় স্টেশনে হয় সেদিকটাকে জোর দিয়ে ও ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় এড়াতে ও যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে টাইম টেবিলে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।