জেঁকে বসেছে শীত বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ, রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

রাজশাহীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। চারপাশে ঘন কুয়াশা। শীতের বুড়ি হাজির। তার হিমেল পরশে সবাই জবুথবু।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে হঠাৎ করেই নেমে গেছে তাপমাত্রা। ভোরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৪, ডিগ্রি সেলসিয়াস। একে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলছে রাজশাহী আবহাওয়া দফতর। এছাড়াও পাবনা, নওগাঁ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, গতকাল বৃস্পতিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সকালে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সব এলাকার তাপমাত্রা কমেছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এই সময়ে আরও কিছু অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

তিনি জানান, শনিবারের পর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে পারে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

এর আগে গত বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, রাজশাহীজুড়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো হিম হাওয়া। এতে বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষজন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। যে যার মত করে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দুস্থদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে সরকার। এরই মধ্যে জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাছে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।

তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছেন। রোগীদের সেবায় সব ধরণের প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।