খালেদার জামিন শুনানি, সবার নজর উচ্চ আদালতে

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে গোটা দেশ জুড়েই ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপিসহ কৌতুহলী রাজনৈতিক মহল, সারাদেশের অসংখ্য নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের চোখ উচ্চ আদালতের দিকে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন শুনানির কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি করবেন। আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকার ১২ নম্বরে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা প্রতিবেদন দিতে না পারায় এজলাস তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিসহ ছয়জন বিচারক এজলাস ছেড়ে উঠে যান।

পরে ছয় দিন সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেয়ার দিন ঠিক করেন আদালত। তার আগে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিডেকেল রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টিতেই তিনি জামিনে রয়েছেন। শুধু জামিনের অপেক্ষায় রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এ দুটি মামলা। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হলেই খালেদার মুক্তির পথ খুলবে বলে আশা করছেন তার আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিয়ে শুধু বিএনপিই নয়, সারাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যেও কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপি নানামুখী সিদ্ধান্তও নিয়েছে। বিএনপি প্রধানের জামিন হলে কিংবা না হলে দুটি দিক বিবেচনায় রেখেই এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমান্ড। প্রস্তুত আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।