আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে, অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’।

শেখ হাসিনা বলেন, সব থেকে যেটা প্রয়োজন মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করা। সুতরাং অপরাধী যে-ই হোক, অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, একদিকে আমরা যেমন মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি, পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি-এগুলোর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজেই এগুলো সমাজকে ধ্বংস করে, সমাজকে নষ্ট করে। সমাজ থেকে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন:
রাবি শাহ্ মখদুম হলে ৩০ বছর বন্ধ থাকা গ্রন্থাগার চালু
পুরুষদের বিবাহ ভীতির ৬ কারণ

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সব মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিচারের মাধ্যমে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমরা হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক আমরা এ বিষয়ে সোচ্চার। কারণ আমরা সব সময় মনে করি সরকার মানে জনগণের সেবক, জনগণের কাজ করে- সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করে সবার জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কমিশনের সে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।

জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণকে মানবাধিকার ও নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন করে গড়ে তোলা দরকার।

বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কতগুলো কেস আপনারা দেখেছেন, আমরা কিন্তু দ্রুত সেটার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমাদের বিচার খুব স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগের নিশ্চিত করে দিয়েছি। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

ডিসেম্বর ১০, ২০১৯ at ১৩:০৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বানি/এআই