রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে এবং পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর মালোপাড়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ বাধা প্রদান করেন। পরে তারা বাধাস্থলেই সমাবেশ করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বাংলাদেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। আর গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। বর্তমান সরকারের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই সরকার দেশকে বিক্রি করার জন্য পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বেগম খালেদা জিয়ার কোন বিকল্প নাই।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করতে দেয়নি। সরাসরি দেশের বর্তমান বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ ও বক্তব্য দিয়ে রিপোর্ট দিতে দেননি।
পূনরায় তারিখ পিছিয়ে চলতি মাসের ১২ তারিখ করেছে সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত। আগামী ১২ তারিখ বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হলে দেশে কি ঘটবে তা কেউ তা বলতে পারছেনা। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন।

আরও পড়ুন:
জয়পুরহাটে গ্রীন এন্ড ক্লিন’র উদ্যোগে মেগা ইভেন্ট
পূত্রের নামে হয়রানিমূলক মামলা, পুনঃ তদন্তের দাবিতে পিতার সংবাদ সম্মেলন

বুলবুল বলেন, এই সরকার দেশের পেঁয়াজসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ জনগণের পকেট খালি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কথা বললেই নেমে আসছে জুলুম ও অত্যাচার। এই অত্যাচারী সরকারের কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করতে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে যেকোন মূল্যে বের করতে হবে বলে জানান তিনি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, হটকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আইন আদালতকে নিয়ন্ত্রন করে বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ দুই বছর ধরে কারাগারে রেখেছে। তিনি মারাত্বক অসুস্থ হলেও জামিন দেওয়া হচ্ছেনা। আদালতের নির্দেশনা সত্বেও ৫ তারিখ আদালতে রিপোর্ট প্রদান না করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে সরকারের আইনমন্ত্রী। কোন বাধাই কাজে আসবেনা বলে তিনি জানান। এই অবৈধ সরকার ভারতের দালালী করছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে মূখ্যমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। কিন্তু ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এই সরকারকে কোনভাবেই বিনষ্ট করতে দেওয়া হবেনা।

তিনি আরো বলেন, এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২৯ ডিসেম্বর ডে-নাইট ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে একমাত্র আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে টিকে আছে। বিদেশীদের কথিত স্বীকৃতি নিয়ে মনে করছে বৈধ সরকার গঠন করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে কিভাবে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বেগম জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার ও এই অবৈধ সরকারের পতনের আন্দোলনে সকলকে রাজপথে নামার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন মিলন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। সভা পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত।

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল, মহানগর ছাত্রদল, জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ডিসেম্বর ৭, ২০১৯ at ২০:৫২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই