২৪ ঘন্টা ডিউটি করি। বৎসরের দুইটি ঈদ পরিবারের সাথে পালন করতে পারিনা। সন্তানের পরীক্ষার মধ্যে, ফলাফলের দিন, ভর্তির দিন উপস্থিত থাকতে পারিনা। দেশের অন্য সকল সন্তানের সকল শুভদিনে শুভক্ষণে শুভ স্থানে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কেউ না কেউ উপস্থিত থাকি।
কিন্তু আমাদের সন্তান কোন না কোন নাগরিকের সহায়তা পেল না কেন? পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ! পৃথিবীর ওজনের চেয়ে ভারী ওজন। সন্তানের সব দেহ বহন করা কোন পিতার পক্ষে সম্ভব না।
রুম্পা পুলিশ পরিদর্শক রোকন উদ্দিনের মেয়ে। পুলিশ পরিবারের সন্তান। তার স্বপ্নের গোলাপ ফুল অঙ্কুরিত হতে দেয়নি দুর্বৃত্তরা। স্বপ্নসাধ বেলুড়ি চুরির মতো ভেঙে খানখান করে দিয়েছে নরপশু।
বাংলাদেশের হত্যা ধর্ষণ ডাকাতি ছিনতাই সন্ত্রাসী হামলা সকল রকমের আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যগণ।
এই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা এতই দুধর্ষ এবং নিজেদের শক্তিতে শক্তিমান যে পুলিশ পরিবারের মেয়েকে নিয়ে হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করে ফেলল।
এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব রোকন উদ্দিনের কোনো না কোনো সহকর্মীর। রোকন উদ্দিনের কাঁধে মেয়ের লাশের বোঝা যত ভারী হোক না কেন তার চেয়ে বেশি দায়িত্ব এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা। আমরা তার সহকর্মী হিসেবে পরিপূর্ণ পেশাদারিত্ব দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই পুলিশ পরিবারে হাত দিলে কি হয়?
পুলিশ পরিদর্শক রোকনউদ্দিন কে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। কিন্তু একজন সহকর্মী হিসেবে আমাদের মা মনি হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে হবে। এবং সেটা যেন অতি তাড়াতাড়ি হয়ে ওঠে।
এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
হত্যার শিকার রুম্পার বাবা-মা এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে যে পুলিশ সদস্য দেশের সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে থাকে তাদের পরিবারের সন্তানদের নিয়ে হত্যার মত খেলা যারা খেলেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রার্থনা করছি।
ডিসেম্বর ৭, ২০১৯ at ০৮:০৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ইমাও/তআ