নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বেড়াতে আসা আরব আমিরাতের নাগরিক ব্যবসায়ী আলী আহামেদ ও স্থানীয় দুই দুবাই প্রবাসীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকাসহ বিমানের টিকিট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ থানার দুই এস আইয়ের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রবাসী ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফাতেমা বেগম এবং তার বড় ভাই দেলোয়ার আনসারকে ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ফাতেমা বেগম ও তার স্বজন শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা চলতি মাসের প্রথম দিকে দেশে আসার সময় তাদের কফিল (মালিক) আলী আহামেদও বাংলাদেশ ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর ফাতেমা বেগম ও তার পরিবারের সঙ্গে আলী আহামেদ কোম্পানীগঞ্জে বেড়াতে আসেন। সেখানে তারা একটি বাড়ি ভাড়া নেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ফাতেমা বেগমের বাসায় গিয়ে তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছেন বলে আলী আহামেদের লাল পাসপোর্ট ও তাদের বিমানের ফিরতি টিকিট দেখতে চান কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই জাকির হোসেন। এরপর এসআই জাকির তাদের বিমানের টিকিট নিয়ে যান এবং থানায় দেখা করতে বলেন। এ ঘটনার ৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ফাতেমা বেগমের বাসায় যান কোম্পানীগঞ্জ থানার আরেক এসআই শিশির।
ফাতেমা বেগম ও শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কারণে এসআই শিশির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় ফাতেমা বেগমের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে এবং মুঠোফোনে তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেন। তা না হলে ফাতেমা বেগম ও তার স্বজনদের মাদক এবং ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এই অবস্থায় বিদেশি এই নাগরিক নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সদর সার্কেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।শনিবার সকালে প্রবাসী ওই পরিবারকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর জন্য বলেছি। তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ ডিসেম্বর,২০১৯ at ১৬:০০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ফয়েউ/এজে