রাবির একাদশ সমাবর্তনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার । সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সাংগঠনিক কমিটি সহ অন্যান্য ১৬টি উপ-কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী সমাবর্তনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম.আবদুস সোবহান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে একাদশ সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মণি।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী।

একাদশ সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছে ৩ হাজার ৪৩১ জন গ্রাজুয়েট। এর মধ্যে কলা অনুষদের ১০টি বিষয়ে মোট ৬৬৬ জন; আইন বিভাগের ৮৯ জন, বিজ্ঞান অনুষদের ৮টি বিষয়ে ৩৭৭ জন , বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ৪টি বিষয়ে ৫০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৯টি বিষয়ে ৫৮২ জন, জীব ও ভূ- বিজ্ঞান অনুষদের ৬টি বিষয়ে ৩১০ জন, কৃষি অনুষদের ৪টি বিষয়ে ৮৫ জন, প্রকৌশল অনুষদের ৫টি বিষয়ে ১৩৫ জন, চারুকলার অনুষদের ২টি বিষয়ে ৪৩জন ও ইন্সটিটিউট সমূহে ৬ জন গ্রাজুয়েট স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নিবন্ধন করেছেন। তাছাড়া এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রির জন্য যথাক্রমে ৫১১ ও ১২৩ জন নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তরের সংখ্যা ৮ হাজার ৮১৪ জন এবং নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩২ জন। কিন্তু এ সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেনা অর্ধেকেরও বেশী গ্রাজুয়েট।

কেনও অংশ নিচ্ছেনা এ প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য আবদুস সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, এটা যার- যার ব্যক্তিগত বিষয়। পাশ করার পরে অনেক শিক্ষার্থী সনদ উত্তোলন করে থাকে। এসময় তাদের কর্মজীবনে সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বেকার থাকে এবং নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফি তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলশ্রুতিতে এমনটা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

ভবিষ্যতে ফি কমানোর ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, যেহেতু গ্রাজুয়েটদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রাউন দেয়া হয় সেজন্য ফি পরিমাণ বেড়ে যায়।যদি গ্রাউন না দেয়া হতো তাহলে ১৫০০ টাকা মধ্যে নিবন্ধন করা যেতও। তবে ফি কমানোর বিষয়ে ভবিষ্যতে বিবেচনা করে দেখা হবে।

এ বছরের সমাবর্তনে কাউকে কোন ডিগ্রী প্রদান করা হবে না। সমাবর্তনের দিন দুপুর ২টা থেকে রাষ্ট্রপতি অবস্থান কালে আবাসিক হলের কোন শিক্ষার্থী বাহিরে অবস্থান করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বের হতে পারবেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন দেশ বরেণ্য শিল্পি খুরশিদ আলম ও লুইপা। অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

একাদশ সমাবর্তন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো.জাকারিয়া ও প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকার , ছাত্র উপদেষ্টা লায়লা আরজুমান বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

২৮ নভেম্বর, ২০১৯  at ১৬:৫৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/একে/এজে