সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৪ মাস বন্ধ

৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঠিকমত বনিবনা না হওয়ায় অচলাবস্থা চলছে এ বন্দরে। লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা। বেকার হয়ে পড়েছে হাজারও শ্রমিক। মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০ চাকার থ্রি-এক্সএল ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য আনতো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ছয় চাকার টু-এক্সএল ট্রাকে পণ্য পাঠানো শুরু করলে ৫’শ মেট্রিক টন পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে আমদানি বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ বন্দরের কার্যক্রম।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার পরবর্তী জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত
বিএসসি’র নতুন ৫ টি জাহাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

এতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান ব্যবসায়ীরা। ৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। ভৌগলিক কারণে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এ বন্দর। সবশেষ জুলাই মাসে এক কোটি ৩৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয় এ বন্দরে। মাসুদ হাসান, সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা, সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম গিয়াসউদ্দিন, সহকারি পরিচালক, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম বন্দর সচল করার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাগে ঘুরে দাঁড়াতে চায় কুড়িগ্রামবাসী।

নভেম্বর ২৮, ২০১৯ at ১১:৩০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই