দুমকিতে দু্ই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫৬নং পূর্ব-দক্ষিন চরবয়েড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্ণীতি ও সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ৫ সদস্যের নাম-স্বাক্ষর উল্লেখিত এক আবেদনে জনৈক ছাত্র অভিভাবক মো: দেলোয়ার হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বরিশাল এর উপ-পরিচালক বরাবর ওই অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ৫৬নং পূর্ব-দক্ষিন চরবয়েড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: জেসমিন চৌধুরী জনৈক সচিবের ভাগ্নি পরিচয়ে ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে খামখেয়ালী মতে চাকুরী করছেন। তিনি বেশীর ভাগ সময়ই স্কুলে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাজের অযুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। কেউ তার এসব অনিয়মিত আসা-যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়মত থাকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আফরিনও নিয়মিত স্কুলে আসেন না। আসলেও ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে অফিস কক্ষে গল্পগুজবে সময় কাটান। প্রধান শিক্ষকের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে তিনি এসব অনিয়ম করছেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক জেসমিন চৌধুরী বিদ্যালয়ের শ্লীপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের সরকারী অর্থ উত্তোলন করে নিজের ইচ্ছা মাফিক খরচ করেন যার কোন স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নেই। নামমাত্র মেরামত ও উপকরণ কেনাকাটায় সরকারী অর্থ অপচয় করেছেন। প্রধান শিক্ষক জেসমিন চৌধুরী ও সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আফরিনের এসব অনিয়ম-দূর্ণীতির কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনস্ট ও মান নিম্নগামীতে পৌছেছে। এমন অনিয়ম-দূর্ণীতির প্রতিবাদ করায় এসএমসির শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ মনোয়ার হোসেন কে সহকারী শিক্ষিকা সাদিয়া আফরিনের স্বামী কামরুল ইসলাম নানান ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন:
রেলওয়ের অর্থ লুটপাটের তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক
বিজিবির মারপিটে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন চৌধুরী অবশ্য উত্থাপিত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন দেলোয়ার হোসেন একজন অশিক্ষিত বাজে মানুষিকতার লোক। ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা থেকে এসএমসির জনৈক সদস্যের অন্যান্য সদস্যদের প্রত্যেককে কিছু টাকা দেয়ার প্রস্তাব আমলে না নিয়ে উন্নয়ন কাজ করানো হয়েছে। টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার নামে ভূঁয়া, অসত্য ও বানোয়াট অভিযোগ এনে বাজে লোকটার নাম দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা এবং সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড শিক্ষা অফিসারদের নিবির পর্যবেক্ষনে সম্পন্ন করা হয়েছে। আর নিয়মিত-অনিয়মিতের বিষয়টি ক্লাস্টারের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা কর্মকর্তা দেখভাল করছেন। এখানে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিলাল শিকদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রবিবার ইউএনও মহোদয় অভিযোগ পত্রটি আমার হাতে দিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পিএসসি পরীক্ষার ব্যস্ততা থাকায় তদন্ত করা হয়নি। আগামী দু’একদিনের মধ্যে স্কুলটি পরিদর্শণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

নভেম্বর ২৬, ২০১৯ at ২২:০৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জেইউ/এআই