চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ, কঠোর অবস্থানে বিজিবি

ভারতের আসাম রাজ্যে জাতীয়় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) তালিকায় নাম বাদ পড়া ও নানা নির্যাতনের ঘটনায় হঠাৎ করে অন্যান্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অনেকেই অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

এদের মধ্যে গত এক সপ্তাহে জীবননগরের বেশকটি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকার সময় বিজিবির হাতে আটক হন ২৭ জন অনুপ্রবেশকারী।

আটককৃতদের অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি।

ঝিনাইদহ-৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর কামরুল হাসান জানান, সম্প্রতি সময়ে এনআরসি সমস্যাসহ নানা কারণে অনুপ্রবেশকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে আটক করে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধ্যাদেশ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছে ৫৮ বিজিবি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর সীমান্তের এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে হঠাৎ করে বাড়তি নিরাপত্তা জোড়দার করেছে বিজিবি। এছাড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টের পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা।

আরো পড়ুন:
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ দু’জনকে গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত

গত কয়েকদিনে বিজিবির হাতে বেশ কয়েকজন আটক হলেও স্থানীয় দালালের মাধ্যমে অনেক অনুপ্রবেশকারী অবৈধভাবে বাংলদেশে প্রবেশ করার জন্য সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছে। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব মানুষ এখন বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়।

চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক খালিকুজ্জামান জানান, এনআরসি জটিলতায় ভারতে যে সমস্যা হচ্ছে তার কারণে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে। তবে ৬ বিজিবি অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় আছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর সীমান্তের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে গত ৭ দিনে ২২ জন আসামি ও ৪ জন বাচ্চাকে বিজিবি আটক করে থানায় দিয়েছে। আটককৃতদের মামলা দিয়ে জেলাহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এদিকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে চিন্তিত চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত অঞ্চলের বসবাসকারীরা। তারা বলছে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করতে সাহায্যে করছে এলাকার বেশ কিছু দালালচক্র। তাদের আটক করলে অবৈধ অনুপ্রবেশ অনেক কমে আসবে।

নভেম্বর ২৬, ২০১৯ at ০০:২৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তার/এএএম