জামিনের শুনানি পেছাল খালেদা জিয়ার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাইকোর্টে জামিন আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি পিছিয়ে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। শুনানির জন্য খালেদার আপিল কার্যতালিকায় ২৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। এ আপিলে জামিন চেয়েছেন কারাবন্দী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি ২৫ নভেম্বর ধার্য করেছিলেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালত থেকে বেরিয়ে খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘দেশে ন্যায়বিচার থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন জামিন পাবেন। আশা করি বৃহস্পতিবার এ মামলায় তার জামিন হবে।’

আরো পড়ুন:
রানীশংকৈল পৌরশহরে অসমাপ্ত ড্রেনের দুর্গন্ধ, অভিযোগ পৌরবাসীর
বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত

গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার পক্ষে আপিলটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।

গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানান আদালত। এরপর জামিন আবেদন শুনে ওই খারিজের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

নভেম্বর ২৫, ২০১৯ at ১৪:৪৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ভোকা/এএএম