রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা রাসেল হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানোয়ার হোসেন রাসেল (৩০) হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ২১নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী ও আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার সময় নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের শিরোইল কড়াইতলা এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিলে রাসেল হত্যার আসামী ও তার সঙ্গীদের বিচারের দাবীতে শ্লোগান দিতে দিতে নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে এসে থামে। প্রায় ৫ শতাধিকেরও বেশী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল বিক্ষোভ ও মানববন্ধনটিতে। সমাবেশ শেষে পূণরায় তারা বিক্ষোভ জানানোর মাধ্যমে এলাকায় ফেরেন।

বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে রাসেল হত্যকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাসেলের মা আনোয়ারা বিবি, ভাই মনোয়ার হোসেন রনি ও স্ত্রী বর্ষা খাতুন। তারা জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন প্রশাসনের নিকট। সেই সাথে তারা দ্রুত প্রধান আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মানববন্ধনে কান্নারত অবস্থায় ভাইয়ের ফাসির দাবি জানান যুবলীগ নেতা রাসেলের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন রনি প্রয়াত যুবলীগের নেতা রাসেলের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন রনি জানান, আসল ঘটনা রেল ঠিকাদারি নয়। আমার বড় ভাই রাজাকে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে হত্যা করায় ছিল টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী সুজন ও তার গুন্ডা বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য। বড় ভাই রাজাকে বাচাতে গিয়েই প্রাণ হারায় আমার ছোট ভাই সানোয়ার হোসেন রাসেল। বর্তমানে রাজা ভাইও শঙ্কামুক্ত নয়। তিনি আরো বলেন, পূর্ব-পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই এবং তাদের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি তিনি।

আরও পড়ুন:
প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি, ছাত্রত্ব নেই ইবি’র ছাত্রলীগ নেতার
কেশবপুরে ‘কেমিষ্টস এন্ড ড্রাগিষ্টস’ সমিতির কমিটি গঠন

প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে রাজশাহী রেল ভবনের টেন্ডারবাজ কিছু সন্ত্রাসী রাসেলসহ আরো অন্তত চার জন আহত করে।

এ ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় নিহত রাসেলের ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক রয়েছে।

নভেম্বর ২৪, ২০১৯ at ২০:১৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই