সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে স্পেশাল ক্লাস ও চতুর্থ বর্ষ অনার্স বিভাগের ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি বাবদ ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি সকল কলেজের ফি একই নির্ধারণ করলেও মানছেন না বেশ কয়েকটি কলেজ।

বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়তি টাকা ফেরতের দাবি তুলেছে অভিভাবকরা। অপরদিকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের মানবিক বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল হাফিজসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ৩৫০ টাকার জায়গায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বাড়তি আরও ৫০০ টাকা দাবি করেন। তারা জানান, ইতোমধ্যে ২৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২৭ জন শিক্ষার্থী ৮৫০ টাকা করে দিয়েছে। দুইমাস স্পেশাল ক্লাসের নামে তারা ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেন।

এছাড়াও চতুর্থ বর্ষ অনার্স বিভাগের বাংলা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনাসহ ৬টি বিষয়ে প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ৫ হাজার ৮০০ টাকা করে আদায় করছে। ফরম ফিলাপে ৩০০ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তারা বাড়তি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করছে। দুটো ফি আদায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা কৌশলে আদায় করেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন।

এ ব্যাপারে রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানা জানান, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য অতিরিক্ত ফি নেয়া হয় বলে তিনি স্বীকার করেন। এছাড়াও চতুর্থ বর্ষ অনার্সের ফরম ফিলাপে কেন্দ্র ফি, ইনকোর্স, সনদপ্রদান, বেতন, নম্বরপত্র, মৌখিক পরীক্ষার ফি, কলেজ উন্নয়ন, মাস্টাররোল কর্মচারী, সেশন ফি, সেমিনার উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও মসজিদ/পুজো মিলিয়ে উক্ত ৫ হাজার ৮০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
একটি মাত্র অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৫৬টি মন্ত্রণালয়ের সেবা
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেফতার

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. যোবায়ের হোসেন জানান, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়কে সতর্ক করেছি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাড়তি ফি আদায়ের ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার মো. ইদ্রিস আলী জানান, সকল সরকারি কলেজের জন্য একই ধরনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ এর বাইরে ফি নেয়ার কথা নয়। নিয়ে থাকলে এ দায়-দায়িত্ব তাদের।

নভেম্বর ২৪, ২০১৯ at ১১:৫২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই