এ্যাম্বুলেন্স শূন্য উপজেলা হাসপাতাল

পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী রুগী আনা-নেয়ায় এ্যাম্বুলেন্স না থাকলেও টিএইচও’র জন্য রয়েছে স্পেশাল প্রাইভেটকার! মূমুর্ষু রুগী পরিবহনের সরকারী এ্যাম্বুলেন্সটি একটি শায়ত্বশাষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরের কারনে বর্তমান হাসপাতালটি রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স শূন্য। কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে উপজেলার সাধারণ মানুষ মুমূর্ষু রুগী পরিবহনের সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা বঞ্চিত রয়েছে।
৩১ শয্যা বিশিষ্ট দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রায় দেড় লাক্ষাধিক মানুষের সরকারী চিকিৎসা সেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। প্রকল্প ভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, আয়া, প্রয়োজনী জনবল সংকট থাকলেও বর্তমানে রাজস্বভুক্ত হওয়ার সাথে সাথে সমস্যা অনেকাংশে কমেছে।

কিন্তু রুগী পরিবহনের পুরাতন এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত, গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। নূতন বরাদ্দের সরকারী এ্যাম্বুলেন্সটি পাশর্^বর্তি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হওয়ায় হাসপাতালটি এ্যাম্বুলেন্স শূন্য আছে। এঅবস্থায় দু’বছর যাবৎ এ্যাম্বুলেন্স শূন্য হাসপাতালের ড্রাইভারকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতালের আউটডোর-ইনডোরের গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস নির্ভরশীল হতে বাধ্য হচ্ছেন উপজেলাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা হাসপাতালের পুরাতন এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার অনুপোযুক্ত হওয়ায় ২০১৭ সালে নতুন একটি এ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয় সরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাদ্দকৃত এ্যাম্বুলেন্সটি গ্রহন করার পূর্বেই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। সরকারি হিসেবে কাগজপত্রে হাসপাতালের নামে বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে এ্যাম্বুলেন্স নেই।

আরো পড়ুন :
টয়লেট থেকে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার
জিং সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭২ জাতের আবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরী বিভাগে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য প্রাইভেট মাইক্রোবাস ভাড়া করতে হচ্ছে।

উপস্থিত রোগীর স্বজন জনৈক রাসেল আহম্মেদ আক্ষেপ করে বলেন, উপজেলার সরকারী হাসপাতালের রুগীদের জন্য কোন এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় তার মুমূর্ষ ভাইকে অন্য গাড়িতে করে বরিশাল নেয়া হচ্ছে। এটা রোগীদের জন্য হয়রানি ও অধিক টাকা ব্যায় হয়। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স থাকলে সরাসরি বরিশাল যাওয়া যেত আর সময়-টাকা দুটোই বাচতো।

দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মীর শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমাদের সমস্যার কথা আমরা লিখিত আকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি আশা করি চলতি মাস বা আগামী মাসেই আমাদের সমস্যার সমাধান হবে। প্রাইভেট কার প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটিও সরকারী বরাদ্দের গাড়ী। বরিশাল বিভাগে ৩টি বরাদ্দের ১টি এটি।

২২ নভেম্বর, ২০১৯  at ১৫:৫৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জউ/এজে