কচাকাটায় তালিকায় সরাসরি নেই ৫ মুক্তিযোদ্ধা

নাগেশ্বরীতে স্বাধীনতার চার যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি যুদ্ধে অংশ নেয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারসহ পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা এখন তাদের জীবন সায়াহ্নে এসে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে জীবন কাটছে তাদের। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড কুড়িগ্রাম ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা ইউনিট কমান্ড নাগেশ্বরী কর্তৃক পৃথক পৃথক প্রত্যায়ন সূত্রে জানা গেছে-

শহীদ আছমত উল্লাহ: পিতা: মৃত: সেলিম শেখ, মাতা: মৃত: কছরভান বেওয়া, গ্রাম: শিবেরহাট, ইউপি: কচাকাটা, থানা: কচাকাটা, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে হাবিলদার নুরুল ইসলামের অধীনে ঝাউকুটি, খোচাবাড়ি ইওথ ক্যাম্প এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে লালমনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করে সেখানকার কোম্পানী কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সম্মুখ যুদ্ধে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।

মো: নুরুল হক মোল্লা: পিতা-মৃত: রজব আলী মোল্লা, মাতা: মৃত. নছিমন, গ্রাম: মোল্লাপাড়া, ইউপি: বল্লভেরখাস, থানা: কচাকাটা, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ১৯৭১ সালে জুন মাসে হাবিলদার নুরুল ইসলামের অধীনে ঝাউকুটি, খোচাবাড়ি ইওথ ক্যাম্প এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে সোনাহাট ব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান শেষে সেখানকার কোম্পানী কমান্ডার ইসহাক আলীর অধীনে কুড়িগ্রামের সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

মো: সৈয়দ আলী: পিতা: মৃত: ইসমাইল হোসেন, মাতা: মৃত. ফুলজন বেওয়া, গ্রাম: ব্যাপারীটারী (টেপারকুটি), ইউপি: কেদার, থানা: কচাকাটা, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালে জুন মাসে হাবিলদার নুরুল ইসলামের অধীনে ঝাউকুটি, খোচাবাড়ি ইওথ ক্যাম্প এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে সোনাহাট ব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করে সেখানকার কোম্পানী কমান্ডার ইসহাক আলীর অধীনে কুড়িগ্রামের সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভূক্তি যাচাই বাচাই তালিকায় ২য় পর্বে ৫১ (একান্ন) নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।

মফিজ উদ্দিন: পিতা: মৃত. ঢেপরা মামুদ, মাতা: মৃত. মহিজন বেগম, গ্রাম: পূর্বখামার, ইউপি: কেদার, থানা: কচাকাটা, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালে জুন মাসে হাবিলদার নুরুল ইসলামের অধীনে ঝাউকুটি, খোচাবাড়ি ইওথ ক্যাম্প এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে সোনাহাট ব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করে সেখানকার কোম্পানী কমান্ডার ইসহাক আলীর অধীনে কুড়িগ্রামের সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

মো: আব্দুর রহমান: পিতা: মৃত. জসমত আলী, মাতা: মৃত. রহিমন বেগম, গ্রাম: বালাবাড়ী (ঢলুয়াবাড়ী), ইউপি: কেদার, থানা: কচাকাটা, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ১৯৭১ সালে জুন মাসে হাবিলদার নুরুল ইসলামের অধীনে ঝাউকুটি, খোচাবাড়ি ইওথ ক্যাম্প এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে সোনাহাট ব্রীজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করে তিনি উয়িং কমান্ডার আব্দুস কুদ্দুরের অধীনে কুড়িগ্রামের সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:
প্রাকৃতিক উপায়ে যেভাবে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা যায়
পায়রা বন্দরে ৭৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরির সুযোগ

প্রত্যায়ন পত্রে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তি ও সনদপত্র সহ তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর সুপারিশ প্রদান করেন।

নভেম্বর ২১, ২০১৯ at ১২:১৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই