কুড়িগ্রামে পল্লী চিকিৎসক ও কিশোরী হত্যা মামলায় পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার নামাজের চরে ধান ক্ষেতে পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন (৩৮) এর ক্ষত বিক্ষত লাশ ও রৌমারীতে কাঁশবনে কিশোরী মমতাজ খাতুন জিম্মি (১৫) গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপার কনফারেন্স কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান (বিপিএম)।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, এডিশনাল এসপি (উলিপুর সার্কেল) আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল রায় প্রমুখ। প্রেস ব্রিফিং-এ কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অর্ধ-শতাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, চলতি বছরের ২০ অক্টোবর উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ নামাজের চরের সোহরাব আলীর পূত্র পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীনকে একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ায় যুক্ত থাকায় তার উপর ক্ষুব্ধ প্রতিবেশী রোকেয়া, হাফিজুর মাতব্বর, বুদ্ধু, ফরিদ ও শমসের হত্যা করে লাশ ক্ষত-বিক্ষত দেহ ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। মামলা নং-২৮; ধারা-৩০২/৩৪। পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় হত্যা রহস্যের জট খুলে যায়।

আরও পড়ুন:
পাথরঘাটা বিস্ফোরণে নিহত’র পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা শিক্ষা উপমন্ত্রীর
‘লবনের সংকট, দাম বৃদ্ধি গুজবে বাজার পরির্শদনে ডিসি 

অপরদিকে ১৬ অক্টোবর উলিপুরের ঘুঘুমারী এলাকার শাহ আলমের কন্যা মমতাজ খাতুন জিম্মিকে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে আসামী রমজান আলী তার বন্ধু নুরন্নবী, রাজ্জাক ও হামিদুল মেয়েটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। মেয়েটি স্কুল শেষে কাশিয়া ক্ষেতের ভিতরে দিয়ে বাড়ীতে আসার সময় রমজানের নেতৃত্বে আসামীরা মেয়েটিকে অপহরণ করে দুর্গম কাশিয়াচরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে হাত-পা বেঁধে গলাটিপে তাকে হত্যা করে। মামলা নং-১২; ধারা-৩০২/৩৪।

এ ঘটনায় পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উভয় আসামীরা দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় ক্লুহীন এই মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

নভেম্বর ১৯, ২০১৯ at ১৭:০২:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই