ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২.৩০এ টিএসসিসি’র সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সামনে এসে শেষ হয়। পরে দুপুর ৩টায় টিএসসিসি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে কেক কাটা হয়।পরে ‘মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু সালেহ শামীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা, সম্মানিত অতিথি হিসাবে ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম আব্দুল লতিফ, আমন্ত্রিত অথিতি ছিলেন, বিমল সাহা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দৈনিক ইত্তেফাক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিমা বানু, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী বিশবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন,পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কাহিনী বিশ্ববাসীর নিকট লুকিয়ে রাখার জন্যে সাংবাদিকতার উপর অনেক কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। দৈনিক জনতা, দৈনিক ইত্তফাক, দৈনিক সংবাদের মতো পত্রিকাকে পাকিস্তানী শাসকদের প্রত্যক্ষ মদদে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রাণের যে আন্দোলন সে আন্দোলনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্যে বেশ কিছু হলুদ সাংবাদিককে তারা ক্রিয়াশীল রেখেছিল।

আরো পড়ুন:
রাজশাহীর অন্তঃনগর সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ, জনদূর্ভোগে যাত্রীরা
১৬ বছর পর দৌলতপুরে আ.লীগের সম্মেলন, উৎসবের আমেজ

যারা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক সাংবাদিক তাদের অনেক নিগ্রহ ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথ কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যায় না। আমরা দেখেছি, দেশের মাটিতে না হলেও, বিদেশের মাটিতে গড়ে উঠেছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মহান মুক্তিযুদ্ধে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা বর্তমান সময়ের সাংবাদিকদের জানার দরকার আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, ২৫ মার্চ কালো রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের পর তাঁর অবর্তমানে কলম হাতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরই হাতে তৈরি সাংবাদিকরা।

অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিকরা লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পেরেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য তিতলি ও এশা।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করে আসছে সংগঠনটি।

নভেম্বর ১৮, ২০১৯ at ২২:২৩:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমটিএইস/এএএম