তাদের কোন ভাই না থাকায় এবং দারিদ্রতার কারণে তারা পৈত্রিক জমির শুধু ৩ একর ৩৩ শতক জমির খাজনা খারিজ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়।শালিস বৈঠকে জমি জবর দখলকারি সন্ত্রাসী বর্গাদারদের কাছে ফেরতের দাবি জানালেও তারা তাদের নিজের জমি বলে দাবি করে।
ফলে বাধ্য হয়ে ২০০৭ সালে সাদুল্যাপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এতে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত থেকে তাদের পক্ষে মামলাটির রায় পায়। পরে বর্গাদাররা ভূয়া কাগজ সৃজন করে অপর একটি আপিল মামলা দায়ের করে।
বর্তমানে ওই মামলাটি চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত জমির মধ্যে থেকে বোনেরা ১৬ শতক জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার পর সন্ত্রাসী বর্গাদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং তাদেরকে নানাভাবে জীবন নাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করে।
এদিকে দায়েরকৃত মামলাটির কোন সুরাহা না হওয়ায় ওই অসহায় ৬ নারী এখন বসতবাড়ির জায়গাসহ আবাদি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, উক্ত ৩ একর ৩৩ শতক জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়ে ইতোপূর্বে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
১৮ নভেম্বর, ২০১৯ at ১৬:০৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/সকুবর্ম/এজে