এতে ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে কৃষকদের। তবে যে যত তাড়াতাড়ি ধান কাটতে পারবে তার ক্ষতির পরিমান তত কম হবে। এই বিশ্বাস থেকে ঝিনাইদহের কৃষকেরা একটু কাঁচা থাকতেই কাটতে শুরু করেছে তাদের আমন ধান। এই সুযোগে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ব্যাগ পুটলা নিয়ে প্রচুর কামলা এসেছে ঝিনাইদহ হাটে নিজেকে কামলা হিসাবে শ্রম বিক্রি করতে।
চলছে দরকষাকষি কৃষক ও শত শত কামলাদের মধ্যে। আজ রবিবারের হাটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া খরচ,থাকা, খাওয়া, বিড়ির খরচ ছাড়াও প্রতিজন মোট দিন প্রতি নগদ ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা হারে বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকে আবার বিঘা প্রতি ৪৫০০/ ৫০০০ টাকা হারে ধান কেটে দেওয়ার চুক্তিতে কৃষকের বাড়িতে যেতে দেখা যায়।
জেলার মহেশপুর উপজেলার সামান্তা বর্ডার এলাকা থেকে আসা কামলা বাবুল আক্তার জানায় আমি প্রত্যেক বছর এই ধান কাটার মৌসুমে এই হাটে বিক্রি হই। মাস খানেক কাজ করে বেশ কিছু টাকা আয় করে নিয়ে যাই যার ফলে একসাথে কিছু টাকার মুখ দেখতে পাই। বাড়িতে যা আয় করি তা প্রতিদিন খরচ হয়ে যায়। তাছাড়াও আমাদের এলাকায় অভাবি মানুষের সংখ্যা বেশি তাই জনের দাম কম, জন দেওয়ার মানুষ বেশি।
আগে বর্ডারে কাজ কাম ছিলো কিন্তু এখন বর্ডার একেবারেই সিলগালা, বর্ডারের কাম কাজ করার কোন উপায় নাই তাই আমাদের এলাকা থেকে অনেকেই ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি হতে এসেছে।
১৭ নভেম্বর, ২০১৯ at ১৮:১২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/একে/এজে