প্রধান শিক্ষকের কান্ড সিরাজগঞ্জে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়ে জেএসসি পরীক্ষা !

উল্লাপাড়া উপজেলায় হাটিকুমরুল জুনিয়র হাই স্কুলে শিক্ষার্থী না থাকায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে চলমান জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: ময়নুল হক মুকুল। সরেজমিনে দেখা যায়, চলমান জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ঐ স্কুলে এবার জেএসসি পরীক্ষায় ৭ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।

এই ৭জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সিরাজগঞ্জ শহরের রজব আলী মেমোরিয়াল বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে, রোল নং-৮৬, এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন নং-১৫৮৫০১ মো: শাকিল হোসাইন ও সলঙ্গার তিননান্দিনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো: সাজ্জাদুল ইসলাম হাটিকুমরুল জুনিয়র হাই স্কুল থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্ত করণের উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষক মো: ময়নুল হক মুকুল অভিনব কায়দায় মাত্র ৭ জন শিক্ষার্থীকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাচ্ছে। ৭জন শিক্ষার্থীই প্রধান শিক্ষক ময়নুল হক মুকুলে নিটকতম আত্মীয়-স্বজন।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: ময়নুল হক মুকুল বলেন, স্কুলকে টিকিয়ে রাখতে আমি এমন পথ বেছে নিয়েছি। শাকিল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ও মো: সাজ্জাদুল ইসলাম তিননান্দীনা স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে আপনি তাদের দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন তার কোন উত্তর দিতে পারেনি।

রজব আলী মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো: এসএম সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, মো: শাকিল হোসাইন আমার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, রোল-৮৬, শিক্ষাবর্ষ-২০১৯-২০। কিন্তু সে এমন কান্ড ঘটিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন :
দত্তনগর খামারের বরখাস্তকৃত ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই ও চাচাকে মারধর

এদিকে একাধিক শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, এটি এক ধরণের প্রতারণা। একটি হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী  তাও আবার কলেজ ও অন্য স্কুলে পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি নিয়মের মধ্যে পরে না।

পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো: হায়দার আলী বলেন,  বোর্ড থেকে দেওয়া সঠিক প্রবেশপত্র ঠিক থাকায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করতে পারেনি। তবে বিষয়টি আমার এক্ষুণি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শাহাদৎ হোসেন জানান, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৬ নভেম্বর, ২০১৯  at ২১:০৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আদিরা/এজে