পেঁয়াজ বিমানে উঠেছে আর চিন্তা নাই: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেঁয়াজের সমস্যা যাতে না থাকে, তাই কার্গো ভাড়া করে আমরা এখন পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। আগামীকাল (রোববার), পরশুর (সোমবার) মধ্যে এই বিমানে পেঁয়াজ এসে পৌঁছাবে। এখন পেঁয়াজ বিমানেও উঠে গেছে। কাজেই আর চিন্তা নাই।

আরো পড়ুন:
শীতে শুকনো ঠোঁটের যত্নে
জেডিসি পরীক্ষার্থীদের নকল সঙ্গে রাখায় ২ কক্ষ পরিদর্শকে কারাদণ্ড

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পেঁয়াজের মূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের একটি সংকট দেখা দিয়েছে, এটি মোকাবিলা করতে আমরা দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম এত কেন বেড়ে গেল সেটা দেখা হচ্ছে। আমি তদন্ত করে দেখতে বলেছি। কেউ মজুদ করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে কিনা। এর পেছনে মূল কারণটা কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে।

পেঁয়াজের মজুতদারদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ চলে আসছে। আর মাত্র এক-দুই দিন। এরপর যারা মজুদ করেছে, তারা কি করে, দেখতে চাই। এটা বেশি দিন রাখা যায় না, পঁচে যায়। শুনছি অনেকে নষ্ট পেঁয়াজ শুকানোর চেষ্টা করছেন।

পেঁয়াজের দাম ভারতেও বেশি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়াতেও পেঁয়াজের দাম অনেক। সেখানে ১০০ রুপিতে তারা প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ কিনতে পারে। শুধু এক স্টেটে তারা তাদের পেঁয়াজ ওই স্টেটের বাইরে যেতে দেয় না। শুধু সেখানে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি আমাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটির সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সহ-সভাপতি এবং সম্মেলন অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি স্বাগত বক্তৃতা করেন।

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বক্তৃতা পর্বের শুরুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন সংগঠনের দফতর সম্পাদক সালেহ মো. টুটুল। এরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সব শহিদ, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহিদ এবং দেশের সব গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

১৬ নভেম্বর, ২০১৯  at ২০:১৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/যুগা/এফএপি