অভিষেকের চিঠি ভাইরাল

‘বলিউডের শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চনের বয়স ৭৭। কিন্তু এই সংখ্যাটা যে কেবলই শরীরের, তাঁর মন যে চির তরুণ, তার প্রমাণ দেন প্রতিবার। একজীবনে তাঁর আর পাওয়ার কিছু বাকি নেই। তবুও বারবার স্মৃতি হাতড়ে পেছনে ফিরে তাকান। সাদা–কালো ছবি শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে। তখনই নাকি তাঁর জীবন বেশি রঙিন ছিল।

অমিতাভ বচ্চনের সর্বশেষ টুইট চোখে পড়েছে আপনার? বাবাকে কাঁপা কাঁপা আনাড়ি হাতে লেখা একটা শিশুর চিঠি। হ্যাঁ, অভিষেক বচ্চন তখন একেবারেই শিশু। কত বয়স? তা অমিতাভ বচ্চনও মনে করতে পারলেন না। তাই ক্যাপশনে লিখলেন, ‘অনেক অনেক আগের লেখা একটি চিঠি। যখন শুটিংয়ের জন্য অনেক দিন দূরে ছিলাম।অমিতাভ বচ্চনকে লেখা অভিষেক বচ্চনের চিঠি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

তারপরই লিখেছেন, ‘সন্তানের জন্য বাবা কেন টাকা উপার্জন করবে? যদি সন্তান যোগ্য হয়, তাহলে সে নিজেই নিজের প্রয়োজনের অর্থ উপার্জন করবে। তাই তার বাবার অর্থের দরকার নেই। আর সন্তান যদি অযোগ্য হয়, তাহলে বাবার উপার্জিত অর্থ উড়িয়ে শেষ করবে। তার জন্য অর্থ জমিয়ে লাভ কী?

ইতিমধ্যে এই চিঠির নিচে ‘ভালোবাসা’ জড়ো হয়েছে প্রায় ৩ লাখ। চিঠির ছবিটি রিটুইট করা হয়েছে দেড় হাজারের বেশিবার। চিঠিতে কেবল বাবার জন্য নয়, মা আর বোনের জন্যও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। চিঠিতে অভিষেক বচ্চন বাবাকে ‘ডার্লিং পাপা’ বলে সম্বোধন করেছেন।

ছোট্ট অভিষেক বচ্চন বাবাকে লিখেছেন, তিনি বাড়ি না আসা পর্যন্ত অভিষেক তাঁর মা আর শ্বেতা দিদির খেয়াল রাখবেন। তাই তাঁদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। অভিষেক বচ্চন আরও লিখেছেন, ‘আমি তোমার মুখের হাসির জন্য প্রার্থনা করি। আর আমি জানি, সৃষ্টিকর্তা আমার প্রার্থনা শুনতে পান। আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু মাঝে মাঝে দুষ্টুমিও করি।

আরো পড়ুন:
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় পাচ্ছেন নরেন বিশ্বাস পদক
আর্জেন্টিনার কাছে হারল ব্রাজিল

এই চিঠি রিটুইট করে অনেকে লিখেছেন, ‘আহা, একজন বাবাকে সন্তানের চিঠি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কী কিউট হাতের লেখা। আরেকজন ক্যাপশনে তুলে দিয়েছেন চিঠির কিছু অংশ, ‘আমি মা, শ্বেতা দিদি আর বাড়ির খেয়াল রাখব।

শ্বেতা বচ্চন কবে কখন বড় হয়ে গেছে, তা টেরই পাননি অমিতাভ বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়াশ্বেতা বচ্চনের ছোট বেলা আর বড় বেলার দুটি ছবি কোলাজ করে শেয়ার করেছেন অমিতাভ বচ্চন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন শ্বেতা এইটুকুন ছিল। আর হঠাৎ কবে যে বড় হয়ে গেল, টেরই পেলাম না।

১৬ নভেম্বর, ২০১৯  at ১১:২৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/প্রআ/এজে