বিআরটিএ’র দালালচক্রের ৩ সদস্য আটক

নিরাপদ সড়কের জন্য দক্ষ চালক প্রয়োজন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে জেলা পুলিশের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্ববর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক অভিযানে বিআরটিএ এর সিল ও কাগজপত্র, পিসি সহ আটক দালালচক্রের ৩ সদস্য।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর থানার কলেজ মোড়স্থ আলিফ কম্পিউটার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে সরকারী কাজে ও বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্সে ব্যবহৃত হয় এমন ছয়টি সিল, কাগজপত্র, তিনটি পিসিসহ তিনজনকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবত একটি অসাধু চক্রের সহায়তায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেয়া এবং বিআরটিএ অফিসে দালালির সাথে জড়িত ছিল বলে ডিবি পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:
সরকারি নির্মাণ কাজে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইট!
১১টি স্কুলে দুটি করে ডিজিটাল হাজিরা, অপব্যবহারের অভিযোগ

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আটককৃত চক্রটি মুলত বিআরটিএ’র দালাল চক্র। এদের মাধ্যমে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভুক্তভোগী ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা ব্যক্তিদের কাছে আদায় করা হয়। পুলিশের অভিযানে আটক হওয়ার পর ভুক্তভোগী কিছু ব্যাক্তি দালাল সিন্ডিকেট বিষয়ে তথ্য দেবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে অপেক্ষা করতে বলেছেন পুলিশ প্রশাসন। আটককৃত চক্রটিও এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু তথ্য বিআরটিএ কুড়িগ্রাম অফিস সম্পর্কে দিয়েছেন, যা খতিয়ে দেখা হবে। এ দালাল চক্রটির তথ্য ও ভুক্তভোগী ব্যাক্তিদের বক্তব্য তদন্ত করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশের গোপন সূত্রে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান (বিপিএম) বলেন, ভুক্তভুগী ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা মানুষদের কাছে ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা নেয়ার যে অভিযোগ গুলো রয়েছে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নভেম্বর ১৫, ২০১৯ at ১৬:৫৩:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই