প্রাচীন’ মুদ্রা নিয়ে প্রতারণা

 বগুড়ায় প্রাচীনকালের নকল মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫৭টি ধাতব মুদ্রা ও তিনটি ধাতব স্মারক উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, প্রাচীনকালের নকল ধাতব মুদ্রা ও ধাতব পদার্থ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এ প্রতারক চক্র।

গতকাল দুপুরে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক আসলাম আলী জানান, বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনে থেকে লতিফপুর কলোনি এলাকার আজিজার রহমানকে গ্রেফতারে করা হয়। এরপর ওই চক্রের অন্য সদস্য শিবগঞ্জের সারদীঘি গ্রামের রুহুল আমিন ও গাবতলীর তরফসরতাজ এলাকার আবু নাছেরকে গ্রেফতার করা হয়।
Related image

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নকল ধাতব স্মারক উদ্ধার করা হয়। চার কোনা ও গোলাকৃতি এসব স্মারকে প্রাচীন রাজদরবার, জাহাজ ও ঘোড়সওয়ারির ছবি দেয়া রয়েছে। এটিকে কয়েক হাজার বছরের পুরনো পুরাকীর্তি হিসেবে বলে দেশ ও বিদেশে বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা করত চক্রটি। প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আরো নকল ধাবত মুদ্রা ও স্মারকের সন্ধান পায় ডিবি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া থেকে জহুরুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

আরো পড়ুন :
দারিয়াপুর জয়নাল আবেদীন প্রিপারেটরী স্কুলের পিইসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
ইসরাইলি হামলায়, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৮

এ দুজনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার নুরইল শিয়ালী গ্রামে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৭টি প্রাচীন ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। পরে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য জয়পুরহাটের কালাই বামনডাঙ্গা গ্রামের বাছেদ আলী, গাবতলীর পদ্মপাড়ার রোকনদ্দিন, সদরের শহরদীঘি এলাকার লিটন প্রামাণিক ও শাজাহানপুরের জোরমালা গ্রামের গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করা হয়।

Related imageপরিদর্শক আসলাম আলী আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, দেশে ও বিদেশে একাধিক চক্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। এসব মুদ্রা ও স্মারক মহামূল্যবান হিসেবে তারা ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করেন। পরে কাঙ্ক্ষিত মূল্যে সেগুলো বিক্রি করে দেন। এভাবে তারা কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

১৪ নভেম্বর, ২০১৯  at ১৬:৪৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বনিবা/এজে