বেনাপোল রজনী ক্লিনিকের সিজার বাণিজ্যের বলি নবজাতক

যশোরের বেনাপোল রজনী ক্লিনিকের সিজার বাণিজ্যের কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী অপচিকিৎসার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লিনিক বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ করেছেন।

পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। বুধবার(১৩ নভেম্বর) রাত ৮ টায় সিজারের পর পরই অবহেলার কারনে এ নবজাতকের মৃত্যু হয়। নিহত নবজাতক বেনাপোল পৌরসভার নারানপুর গ্রামের নাজমা বেগমের ছেলে।

নিহত নবজাতকের নানা আনোয়ার রহমান জানান, তার মেয়ের প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার সকাল ৭ টায় তিনি রজনী ক্লিনিকে ভর্তী করেন। সেখানকার কর্মীরা আলট্রাস্নোসহ যাবতীয় পরীক্ষা করে জানায় মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ্য আছে। তবে মায়ের শিশু জন্ম দিতে হলে সিজার করতে হবে। সিজারের জন্য ১০ হাজার টাকা লাগবে ৯ হাজার টাকা দিতে চাইলেও রাজি হয়নি দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার সুইট পরে ১০ হাজার টাকা আগেই দিতে হয়।

এদিকে সিজারের জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তার মেয়ে। এসময় তিনি যশোর নিতে চাইলে ক্লিনিকের তত্বাবধানকারী সুইট তাকে বলেন তাদের হাতে ভাল ডাক্তার আছে বিকালের মধ্যে চলে আসবে। এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু ডাক্তার সন্ধ্যা ৭ টায় এসে সিজার করেন। সিজারে দেরী হওয়াতে নবজাতক মারা যায়।

ক্লিনিকের ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, এ গর্ভবতী মায়ের ডাইবেটিকস ছিল। এমন রোগীর সিজার ঝুকি থাকে। তবে তিনি যে সন্ধ্যায় অপারেশন করবেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তা জানতেন। এখানে তার কোন দোষ নেই।

নাভরণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত নবজাতকের পরিবার যদি অভিযোগ জানায় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:
পেট্রোলের চাহিদা মেটাতে আমদানি হচ্ছে ৪৫ হাজার টন ‘মোগ্যাস’
নতুন বোতলে এলো চিক অ্যাডভান্সড কন্ডিশনিং শ্যাম্পু

এদিকে স্থানীয়রা জানান, কোন নিময় নীতি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ব্যবসা করছে কুমিল্লা থেকে আসা আমজাদ নামে এক ব্যক্তি এবং তার ছেলে আসাদ কে দিয়ে সব ধরনের টেস্ট পরীক্ষা করান ছেলের নামের আগে ডিএমএফ লেখা থাকে ।এছাড়া যারা ক্লিনিকে পরীক্ষা, নিরীক্ষার কাজ করেন তাদের ভাল অভিজ্ঞতাও নেই। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে তারা এ ব্যবসা চালাচ্ছে। এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা এই রজনী ক্লিনিকে হয়েছে এরা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন।

নভেম্বর ১৪, ২০১৯ at ১২:২৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমও/এআই