রাবি স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ, ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে তৎপর একটি মহল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি ওই শিক্ষক। তার নাম দুরুল হুদা। বর্তমানে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষায় একটি মহল নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম স্কুলছাত্রীর মা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রসায়ন বিভাগের প্রফেসর বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর নগরীর মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি রাবি স্কুলের সহকারী শিক্ষক দুরুল হুদা। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক দুরুল হুদা রাবি শিক্ষিকার মেয়েকে তার বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবি শিক্ষিকার বাসায় যান তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে।

পড়ার এক পর্যায়ে শিক্ষক দুরুল হুদা বাসার ভেতরটা ঘুরে দেখতে চান। তখন ভিকটিম ছাত্রী তাকে বাসার ভেতরে ঘুরে দেখাতে থাকে। এসময় শিক্ষক স্টোর রুম দেখতে চান। স্টোর রুমে নিয়ে গেলে সেখানেই ভিকটিম ছাত্রীকে পেছন দিক থেকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শিক্ষক। এ অবস্থায় ছাত্রীটি কোনো রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে আবারো জোর করে জড়িয়ে ধরেন শিক্ষক।

এসময় মেয়েটি চিৎকার দিলে বাসার নিচ তলায় থাকা তার মা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে ওই শিক্ষক জেলহাজতেই রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে ভূয়া কবিরাজ আটক
অনিয়মই যেখানে নিয়ম, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ জালিয়াতির অভিযোগ

রাবি’র রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ও ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষায় একটি মহল অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আসামি পক্ষ ঘটনাটিকে বিতর্কিত করে ওই শিক্ষককে রক্ষায় গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার এসআই ইমরান আলী জানান, মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটিকে বিতর্কিত বা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং ন্যায়বিচারই হবে।

নভেম্বর ১২, ২০১৯ at ২০:৫৬:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই