পরকীয়া প্রেমের অপরাধে প্রেমিককে পিটিয়ে আহত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে শাহিনুর আলম বাবু (২২) নামের এক কথিত প্রেমিক কে এলোপাতারি মারধর করে যখম করেছে প্রেমিকার পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামে। আহত শাহিনুর আলম বাবু ঐ গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। সে বর্তমানে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে খাদিজাকে ৬ বছর পূর্বে উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের ইস্রাফিলের পুত্র ফারুক হোসেনের সাথে বিবাহ দেন। সেখানে ঘর সংসার করা কালীন খাদিজার সংসারে ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তানের জম্ম নেয়। এ অবস্থায় শ্রীমন্তপুর গ্রামের এনামুল হকের পুত্র কথিত প্রেমিক শাহিনুর আলম বাবু দীর্ঘদিন থেকে মোবাইল ফোনে খাদিজাকে তার প্রেমের জালে আটকে ফেলে। ৫ই নভেম্বর ঐ মোবাইল প্রেমের সুত্র ধরে এনামুল বিবাহের উদ্দেশ্যে খাদিজাকে ভাগিয়ে নিয়ে গেলে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রাম্য শালিশে মিমাংসাা করা হয়।

আরও পড়ুন:
যবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির নেতৃত্বে হেলাল উদ্দিন ও কামরুল হাসান
নাটোর থেকে সেরা লেখক ও সংগঠকের সম্মাননা পেলেন প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ

পরে পাঁচবিবি থানার এস আই রেজাউল করিম আকন্দ খাদিজাকে তার বাবা-মার হাতে তুলে দেন। শাহিনুর আলম বাবু  ৯ই নভেম্বর শনিবার বিবাগত রাত ১০ টায় প্রেমিকা খাদিজার শয়ন ঘরের জানালায় ডাকাডাকি এবং মোবাইলে রিং করলে তার ভাই ও স্বামী তাকে ধরে এলোপাতারি মারধর করে। পরে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে খাদিজার বাবা খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি গ্রাম্য শালিশে মিমাংসা করে দেওয়ার পর প্রায় ছেলেটি আমার মেয়েকে মোবাইলে ও ঘরের জানালায় এসে উত্যক্ত করে। কথিত প্রেমিক শাহিনুরের মা শাহিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে আটকে মারধর করা হয়েছে।

ইউপি সদস্য ফারায়েজ হোসেন বলেন, বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও মেয়ে পক্ষ পুনরায় মারধর করে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনসুর রহমান জানায়, মিমাংসার বিষয়ে জানা থাকলেও এ ঘটনা ছেলেটিকে মারার বিষয়ে তার জানা নেই এবং কেউ অভিযোগ করে নাই।

নভেম্বর ১১, ২০১৯ at ১৯:০৫:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআই/এআই