গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান

 পরিমাণ একটু বেশিই। আমরা সবাই কম বেশি  গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকি। কারো,কারো ক্ষেত্রে সমস্যা এত বেশি যে নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করতে হয়।  যাদের,গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম,তাদের ও যেকোন উৎসবের পর,খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের কারণে গ্যাস্টিকের সমস্যা বেড়ে  যায়।

তাই,আজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য,কিছু ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব।কেননা,নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করলে হাড় ক্ষয়ে যাবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।সুতরাং,যারা একটু পেট ফেঁপে উঠলে,গলার কাছে ভারী কিছু আছে এমন মনে হলে, ঢেঁকুর উঠলে,পেট ভারী হলে কিংবা বুকে একটু অস্বস্তি হলেই নিজের মন মত,ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করে থাকেন তারা নীচের প্রাকৃতিক উপাদান গুলো খেতে পারেন।যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে দারুণ কার্যকর।

আজওয়াইন

যারা, প্রায়ই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতে ভুগে থাকেন তারা যদি, প্রতিদিন এক চা চামচ আজওয়াইন বা জোয়ান  এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খান তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সহজেই দূর হবে।আজওয়াইন বা জোয়ানে থাকা থাইমল নামক উপাদান পাখস্থলী থেকে গ্যাস্ট্রিক জুস নিঃসরণে সাহায্য করে।

ফ্রেশআদা

ফ্রেশ আদা কুচি বা আদার চা হজমে সাহায্য করে।যখনই,পেটে গ্যাস হবে তখনই এক চা চামচ আদা কুচি সামান্য লেবুর রস দিয়ে চিবিয়ে খেলে ধীরে ধীরে আরাম পাওয়াযাবে।এছাড়া,গ্যাস্টিকের সমস্যা হলে ২ টেবিল চামচ আদার রস,এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত দূর হবে।

টক দই

নিয়মিত টক দই,খেলে বদ হজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয়। টক দই হল,প্রোবায়োটিকযা,অন্ত্রের গুড ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদনকে স্টিমুলেট করে। ফলে,হজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৬০ গ্রাম টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। দই,দিনের বেলাতে খাওয়া ভাল।না হলে,অনেকের ঠাণ্ডা ব কফ জনিত সমস্যা হতে পারে।

জিরা

গ্যাস্ট্রিকেরসমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি কার্যকর উপাদান হল জিরা। জিরাতে এসেন্সিয়ালঅয়েল থাকে যা আমাদের স্যালিভারি গ্লান্ডকে স্টিমুলেট করে,যা সঠিক ভাবে হজমে সাহায্য করে।ফলে,পেটে অতিরিক্ত গ্যাস ফরমেশন হয়না। একটেবিল চামচ গোটা জিরা ২ কাপ পানিতে ১০-১৫ মিনিট মাঝারি আচে ফুটিয়ে ঠান্ডাকরে নিন।এরপর, খাবার খাওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর পানিটুকু পান করুন।

হিং

গ্যাস্ট্রিকেরসমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি প্রাকৃতিক উপাদান হল হিং।হাফ চা চামচ হিং এককাপ কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে পান করলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূরহয়। হিং,যেসব গাট ব্যক্টেরিয়া অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদন করে তাদের গ্রোথকে বাধা দেয়। ফলে,প্রাকৃতিক ভাবেই দূর হয় গ্যাস্ট্রিক।

ত্রিফলা

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি প্রাকৃতিক উপাদান হল ত্রিফলা।মাত্র হাফ চা চামচ ত্রিফলা,পানিতে ১০-১৫ মিনিটফুটিয়ে,রাতে শোবার আগে পান করতে পারেন যেদিন অতিরিক্ত গ্যাস ফর্ম করে। ত্রিফলা,শুধু যে গ্যাস্টিকের  সমস্যা দূর করে তা নয়।পুরো ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে ক্লিন করে।

এছাড়া যা করতে পারেন



এছাড়া,যারা প্রায়ই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতে ভুগছেন,তারা ১- ২ টি কাচা আমলকি বা ১ চা চামচ মৌরি দানা অথবা সামান্য গোল মরিচের গুড়াঅল্প লবণ দিয়ে চিবুলে ও গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে রিলিফ পাবেন। সুতরাং,গ্যাস্টিকের সমস্যা হলেই যে ঔষধ খেতে হবে তা নয়। হাতের কাছের প্রাকৃতিক উপাদান যেমন নিরাপদ তেমনি কার্যকর।এছাড়া,যাদের গ্যস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে,তারা সময় মত খাবেন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি এবং পানি পান করবেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করবেন।

আরো পড়ুন:
পরাজয় নিয়ে মাহমুদউল্লাহ যা বললেন
দিবালার ১-০ গোলে জুভেন্টাসের জয়

সতর্কতা:

যারা গর্ভবতী তারা যেকোন উপাদান গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।তবে,কাচা আমলকী, গোল মরিচ বা মৌরি খেতে পারেন।বিশেষ করে কাঁচা আমলকী গর্ভকালীল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ভীষণ কার্যকর।

১১  নভেম্বর, ২০১৯  at ১৩:৫৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/দৈজা/এজে