শার্শায় বুলবুলের প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

যশোরের শার্শা উপজেলার সব মাঠ জুড়েই রয়েছে সোনালি ফসল পাকা ধান। আর কয়েকদিন গেলেই এই আমন ধানে গোলা ভরবেন কৃষকরা। ফুটবে তাদের মুখে হাসি। কত আশাই-না ছিল কৃষকদের।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব এক নিমিষেই সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। জমির ধান শুয়ে পানির নিচে যাওয়ায় তাদের মুখে এখন হতাশার ছাপ। ধান নষ্ট হবার আশঙ্কায় সোনালি স্বপ্ন এখন ফিকে হতে চলেছে কৃষকের। বুলবুলের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় সব মাঠেই আমন ধান শুয়ে পানিতে তলিয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া, কায়বা, গোগা, শার্শা ও নাভারনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র চোখে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত শার্শা এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আর শনিবার রাতভর বৃষ্টির পাশাপাশি বয়েছে ঝড়ো হাওয়া।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে: আইএমএফ
ঝিনাইদহে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনও হয়েছে সব মাঠে। কিন্তু দুই দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার সব এলাকায় চাষকৃত ধানের শতকরা ৯০ ভাগ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকায় ধান শুয়ে পানির নিচে চলে গেছে।

শার্শার পাশ্ববর্তী শালকোনা গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছি। এখন সব শুয়ে পানির নিচে চলে গেছে। কী করে সারের দাম শোধ করব, খাবো কী।বেনাপোল ভবেরবের গ্রামের কৃষকেরা বলেন আমাদের মরণ ছাড়া কোনো পথ নেই।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, বুলবুলের প্রভাবে দুই দিনের বৃষ্টিতে আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১০ ভাগ ধান মাটিতে শুয়ে গেছে। যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে পড়ে যাওয়া ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। সব ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিন কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নভেম্বর ১০, ২০১৯ at ২১:৩৯:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমও/এআই