নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

চলতি বছরের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় চাঁদপুরের জেলেরা নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছেন। ঝাঁকে ঝাঁকে জালে ধরা ইলিশ নিয়ে মোকামে ফিরছেন তারা। কাঙ্ক্ষিত মাছ পেয়ে তাদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। পর্যাপ্ত ইলিশের যোগান পাওয়ায় সন্তুষ্ট মাছ ব্যবসায়ীরাও।

৯ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। অবরোধ শেষ হওয়ায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা। ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা দিচ্ছে জেলেদের জালে।

আরও পড়ুন:
সাকিব ও অন্য ক্রিকেটারদের যেভাবে ফাঁদে ফেলেন জুয়াড়ি
ভালোবাসা শুধুই কি ভালোবাসা?

চাঁদপুরের প্রধান পাইকারি ইলিশের বাজার বড়স্টেশন মাছঘাটই শুধু নয়, জেলার দক্ষিণের চরভৈরবী, কাটাখালী, বাবুরবাজার এমন কি ষাটনল পর্যন্ত ছোটবড় মোকাম ইলিশে সয়লাব। জেলেরা জানালেন, ২২ দিনের অভিযানের পর স্থানীয় নদীতেই ধরা পড়েছে প্রচুর ইলিশ। ছোট ছোট ইলিশের সঙ্গে বড় আকারের ডিমওয়ালা ইলিশও ধরা পড়ছে।

একজন জেলে বলেন, আমরা মাছ পেয়েছি, এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ব্যাপার। মৌসুমের এ সময় মোকামে ইলিশের এমন প্রাচুর্যে সন্তুষ্ট মাছ ব্যবসায়ীরাও। এবং একজন মাছ ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরের থেকে এবার মাছ বেশি পেয়েছি।

অন্যদিকে সবার সহযোগিতায় ইলিশ সংরক্ষণ ও উৎপাদন ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানান জেলার মৎস্য কর্মকর্তা। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, মার্চ-এপ্রিল আমাদের যে জাটকা অভিযান চলবে, এটাকে যদি আমরা সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের ইলিশের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করেন, সরকারি তালিকায় এমন জেলের সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার।

নভেম্বর ১, ২০১৯ at ১১:১০:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএন/এআই