লাগেজে পাওয়া মরদেহ মামলায় গ্রেফতার ৪

কুড়িগ্রামের ডোবা ও ময়মনসিংহে লাগেজ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। খুন হওয়া যুবকের নাম বকুল (২৮)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হুগলা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বোনকে উত্ত্যক্ত করায় বখাটে যুবক বকুলকে হত্যার পর মরদেহ খণ্ডিত করে ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামে ফেলে দেওয়া হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া একই পরিবারের দু’নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন- পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকার ফারুক মিয়া (২৫), তার ভাই হৃদয় মিয়া (২০), বোন সাবিনা আক্তার (১৮), ফারুকের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২২)।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত শাহ আবিদ হোসেন।

আরও পড়ুন:
ইলিশ আহরনের অভিযোগে ৬ জেলেকে জরিমানা, নৌকা ও জাল আটক
‘পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার

তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে কুড়িগ্রামে খণ্ডিত দেহাংশের সঙ্গে নারীদের হাতব্যাগে পাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ময়মনসিংহ ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’নারীসহ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন ও জানায় বোনকে উত্ত্যক্ত জেরে তারা বকুলকে হত্যা করেন।

এর আগে ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম এলাকার শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাত-পা ও মুণ্ডুহীন মরদেহ। একইদিন ও পরদিন কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট থেকে উদ্ধার হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, পা ও মাথা।

অক্টোবর ৩০, ২০১৯ at ১৭:৪৬:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/নিটু/এআই