নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়াগেছে। কর্ম জীবনের শুরু থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরেই
তিনি সিরাজগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের একই অফিসে চাকুরি করছেন। অফিস সংলগ্নই
তার নিজ বাড়ি (জন্মস্থান)। কাজেই কাউকেই তিনি তোয়াক্কা করেন না। এর আড়ালে
তিনি বড় ঠিকাদার।
গণপূর্ত বিভাগের সকল টেন্ডার তারই নিয়ন্ত্রনে। অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী
থেকে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঠিকাদাররা তার কাছে অসহায়। ক্ষমতাধর
এ হিসাব সহকারীর নাম নজরুল ইসলাম। যার বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ গ্রহন, অনিয়ম ও
দুর্নীতিসহ নানাবিধ অভিযোগ। ঘুষ ছাড়া ফাইল ছাড়েন না তিনি। আর এভাবেই
অনৈকতার আশ্রয় নিয়ে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি
দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন :
অভিযোগ সূত্র জানাযায়, সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উচ্চমান হিসাব সহকারী
নজরুল ইসলাম দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ অফিসেই কর্মরত রয়েছেন। একই জেলার
বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে গোটা গণপূর্ত বিভাগ তার নিয়ন্ত্রনে। অফিসিয়াল
অনিয়ম, দুর্নীতির পাশাপাশি ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তৃতীয়
শ্রেণীর কর্মচারী হওয়া সত্বেও রাজনৈতিক আশ্রয়ে নিজের ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ে দিনের অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন। তার এসব
কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস
পায় না।
অফিসের কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি ও বিভিন্ন
ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে তদবির করে বদলি করিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময় অফিসের টেন্ডার
গোপন করে আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে সেখান থেকেও
মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। ফলে গনপূর্ত বিভাগের অনেক ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান কাজে অংশ গ্রহন করতে পারে না। নজরুল ইসলাম দরিদ্র পরিবারের
সন্তান ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও এখন তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেন।
স্থানীয় আকবর আলী জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া শহরে স্ত্রীর নামে আড়াই
কোটি টাকার জমি কিনেছেন নজরুল। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তার বাবার নামে জমি
কিনেন। সেখানে ৩ তলা বিশিষ্ট আলীশান বাড়ি করেছেন। নজরুল ইসলামের আরো দুই
ভাই গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম গণপূর্ত
অধিদপ্তরে উচ্চমান সহকারী হিসাবে এবং ছোট ভাই সিয়াম ঢাকার সাভারে সার্কেল
অফিসে কর্মরত আছেন। আমিনুল ইসলামের ক্ষমতার দাপটে তিন ভাই একই স্থানে
দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। গণপূর্ত বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেই তাদের
কাছে জিম্মী।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকা তাই আমিই এখানে
চাকুরি করবো। তাছাড়া এগুলি দেখভালে বড় ভাই আছেন। তিনিই আমাকে দেখে
রাখবেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ুন কবির
বলেন আমি বিষয়টি আজকে সকালে জানতে পেরেছি বিষয়টি আমি দেখছি।
অক্টোবর ২৭, ২০১৯ at ১৮:৪৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ/ইব্রা/আর/আজা