চুরির দায় চাপিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দাবি, অপমান অপারগতায় আত্নহত্যা

গাইবান্ধার সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় আসবাব-পত্র চুরি হওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষের টাকার চাপে নৈশ প্রহরী ভাদু বিশ্বাস (৫০) অত্মহত্যা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । রবিবার ভোর ৫টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার যাদুরতাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

এলাকাবাসি ও নিহতের স্বজনের দাবী, গত শুক্রবার সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের নৈশ প্রহরী ভাদু বিশ্বাস অসুস্থ্য থাকার কারণে রাতে কলেজে না থাকার সুযোগে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় আসবাব-পত্র চুরি হয়।

এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজু তার প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড ভাদু বিশ্বাসকে দোষারোপ করেন এবং থানায় অভিযোগ করলে শনিবার সকালে সাঘাটা থানার এস আই মোশারফ হোসেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাদু বিশ্বাসকে থানায় নিয়ে যায়।

বিকালে সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজু তার প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরী ভাদু বিশ্বাসকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে এবং অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজু ও ঘুরিদহ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মিন্টু মিয়া সাথে নিয়ে ভাদু বিশ্বাসের বাড়ীতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে চুরি হওয়া জিনিস পত্র কিনে দিতে ৩ লক্ষ টাকার দাবী করেন । রোববার সকালের মধ্যে টাকা না দিলে চুরির অপরাধে জেলে দেয়া হবে বলে ভয় ভিতি দেখায় । ৩ লক্ষ টাকার বোঝা আর চুরি অপবাদ সইতে না পেরে রোববার ভোর ৫ টার দিকে নিজ ঘরের ধর্ণার সাথে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ভাদু বিশ্বাস।

আত্মহত্যা প্ররোচনায় অভিযুক্ত সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজুর সাথে কথা বললে, তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন ।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান , ভাদু বিশ্বাস রশিতে ঝুলে অত্মহত্যা করেছে এ খবর শুনেছি। গতকাল শনিবার সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাদু বিশ্বাসেকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য আনা হয় । পরে শনিবার বিকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় ।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ভাদু বিশ্বাস রশিতে ঝুলে অত্মহত্যা করেছে এ খবর শুনেছি। গতকাল শনিবার সাঘাটা টেকনিকেল এন্ড বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী সাজুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাদু বিশ্বাসেকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য আনা হয় । পরে শনিবার বিকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় ।