পরিবহন শ্রমিকদের হাতে পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে পোর্ট থানার ওসির সাথে মত বিনিময়

দেশের মর্যদাশীল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল দিয়ে যাতে কোন পাসপোর্টযাত্রী হয়রানি না হয় সে লক্ষে পোর্ট থানার ওসির সঙ্গে বেনাপোল চেকপোষ্টে মতবিনিময় সভা করেন বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া দুরপাল্লা পরিবহনের সকল ব্যবস্থাপক গন।

শনিবার বিকাল ৫ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্ট এনআর শ্যামলী পরিবহন অফিসে এ মতবিনিময় সভা হয়। এ সময় বেনাপোল চেকপোষ্ট পরিবহন কল্যান সমিতি’র সভাপতি ও ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার রাশেদুর রহমান রাশু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান।

বেনাপোলে কর্মরত সকল পরিবহনের মালিক দাবি তোলে দুর দুরান্ত থেকে যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনের কর্মরত কলারম্যানদের কাছে অনেক সময় হয়রানির শিকার হয়। তারা তাদের ল্যাগেজ এবং যাত্রীকে টেনে হ্যাঁচড়ে অনেক সময় যাত্রীর ইচ্ছে মাফিক পরিবহনে না নিয়ে অন্য পরিবহন কাউন্টারে নিয়ে যায়। এতে করে যাত্রীরা অসুন্তষ্টি প্রকাশ করে। এ ধরনের বধনাম যাতে বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিবহনের না হয় সেই লক্ষে পরিবহনের কর্মকর্তারা কাজ করছে। যদি কোথাও কোন অসুবিধা হয় তাহলে তারা বেনাপোল পোর্ট থানার সহযোগিতা কামনা করেন। আর যারা সাধারন মানুষ ইডি কার্ড লিখে যাত্রীদের সহযোগিতা করে নিজেদের সংসার চালান তাদের যাথে থানা পুলিশ হয়রানি না করে সে বিষয়টি ও দেখার জন্য ওসি মামুন খানের নিকট অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে প্রধান অতিথি মামুন খান বলেন পুলিশ সকল ভাল কাজের সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু কোন অনিয়ম, পাসপোর্টযাত্রী হয়রানি, এবং যাত্রীদের টাকা নিয়ে গুনতে গুনতে পায়ের নিচে ফেলে দিয়ে আতœসাৎ করা এটা বরদাস্থ করবে না। তিনি বলেন যারা ইডি কার্ড লেখে তাতে পুলিশের আপত্তি নাই। তবে ইডি কার্ড লেখার পাশাপাশি যদি কোন দুরভিসন্ধি কাজ করে তবে তাকে আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং যাত্রীদের টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ছিনতাই মামলা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন, সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম, দেশ ট্রাভেলস এর ম্যানেজার আতিকুজ্জামান সনি, এন আর শ্যামলি পরিবহনের ম্যানেজার বাবলুর রহমান বাবু, রয়েল কোচের ম্যানেজার মরিরুজ্জামান ঘেনা, সৌদিয়া পরিবহনের নজরুল ইসলাম, আশিক সাগরের মিলন হোসেন খান প্রমুখ।