রাবি’র আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ

এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের পর ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাকে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন একাধিক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থীর নাম কিশোর কুমার বলে জানা যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে শুক্রবার (১৮ অক্টোর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে এলে শিক্ষার্থীরা রাত দেড়টার দিকে আন্দোলন বন্ধ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুমন হোসেন জানান, আন্দোলনস্থল থেকে একটু দূরে প্রধান ফটকের ভেতর থেকে কিশোরকে জোরপূর্বক পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এসময় সে চিৎকার করলে আমরা এগিয়ে যাই। তবে পুলিশ দ্রুতবেগে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।

আন্দোলনস্থলে থাকা সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, একজনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছি।

তবে পুলিশ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়নি। থানায় কাউকে নিয়ে আসা হয়নি।

এর আগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের মাঠে অর্থনীতি বিভাগের ফিরোজ নামে এক শিক্ষার্থীকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার কাছে থাকা ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ফিরোজের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

আহতাবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় তারা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় সড়কের দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।