সিরাজগঞ্জে যমুনায় বৈঠার ছন্দ তালে লাখো মানুষের ঢল

যমুনায় বৈঠার ছন্দ তালে লাখো মানুষের ঢল। ঢাক-ঢোলের তালে গ্রাম বাংলার গান আর বৈঠার ছন্দ মাতিয়ে তুলেছিল যমুনার ঢেউকে। আর সেই ছন্দে তাল মিলিয়ে নদীর তীরে সিরাজগঞ্জের লাখ লাখ শিশু-কিশোর-কিশোরী এমনকি বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত নেচে-গেয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করেছেন।

গত বছরের ন্যায় এ বছরও সিরাজগঞ্জের মানুষকে একটু নির্মল আনন্দ-বিনোদন এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পরিষদের উদ্যোগে যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে নৌকা বাইচের আয়োজন করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে নদী তীর মানুষে ভরে যায়। শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা নয় আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকেও হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমীরা নৌকা বাইচ দেখতে এসেছিল। প্রতিযোগীতায় ৩০টি নৌকা অংশগ্রহন করেন। শেষে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। নৌকা বাইচ দেখতে পেয়ে সবাই বিপুল আনন্দ উপভোগ করেছে।

আরও পড়ুন :
প্রায় ৩ শতাধিক মদ ও ফেনসিডিল উদ্ধার
শিশুর ভাঙা পা রেখে ভালো পায়ে প্লাস্টার করে দিল ওয়ার্ডবয়

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জানান, বিনোদনপ্রেমী মানুষ যাতে সুন্দরভাবে নৌকা বাইচের আনন্দ উপভোগ করতে পারে এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল বলে জানালেন পুলিশ সুপার। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জানান, যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষকে বন্যা পরবর্তীতে নির্মল বিনোদন এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। তাই নৌকার ঐতিহ্য ধরে রাখাই নৌকা বাইচের আয়োজন। সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না জানান, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গীমুক্ত দেশ গড়তে খেলাধুলা ও বিনোদনের বিকল্প নেই।

যুব সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখতে পারে সুস্থধারার সংস্কৃতি ও বাংলার ঐতিহ্য খেলাধুলা। আর এ কারণেই বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচের আয়োজন। লক্ষ লক্ষ মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে যমুনা পাড়ে উপস্থিত হয়েছে। তাদের মনে আনন্দে বইছে।

বিশেষ করে শিশুরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ সম্পর্কে জানতে পারছে। এসময় প্রতিযোগিতায় সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবীবে মিল্লাত মুন্না এমপি, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ, পরিষদ প্রধান নির্বাহী ইকতেখার উদ্দিন শামীম, জেলা আওয়ামীলীগেরসহ সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অক্টোবর ১০, ২০১৯ at ১৯:৪৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এআর/আজা