দাদা গান শেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, আটক ১

গান শেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের দাদা হবিবর-শাহ ফকিরের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ওই ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা বাদী আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করার অপরাধে হাজেরা খাতুন নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মৃত-ইয়াছিনের ছেলে হবিবার (৬০) দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাড়িতে ফকিরের আড্ডা খানা চালায়। এরই কারণে বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের নিয়ে গান-বাজনা চালিয়ে আসছিলো।

গত ছয় মাস পূর্বে হবিবার ফকিরের সম্পর্কে নাতনি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী মায়া সে গান ভক্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে যায়। হবিবার ফকির জাদু-মন্ত্রের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রীকে তাবিজের মাধ্যমে বশিভ‚ত করে। এরই সুযোগে দীর্ঘদিন ৬মাস যাবৎ ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর দাদি জানায়, গত কয়েক মাস পূর্বে তার নাতনি মায়া খাতুন গোসলের সময় তার কোমরে পরিহিত তাবিজ দেখতে পায়। তাকে তাবিজের বিষয়ে জানতে চাইলে হবিবার ফকির তাকে দিয়েছে এবং বলেছে তার উপরে জি¦নের দৃষ্টি আছে। এই কথা জানার পরই তাবিজ ছিড়ে পানিতে ফেলে দেয়।

আরও পড়ুন :
ফেসবুকে স্ট্যাটাস জেরে আ. লীগ নেতা বহিষ্কার
ক্যাসিনোর ইতিহাস ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি

তাবিজ ছিড়ে ফেলায় স্কুল ছাত্রীর বশিভূত কেটে যায়। এরই কয়েক দিন পর স্কুল ছাত্রীর সম্পর্কে চাচি ইউনুচ আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন ও রাজ্জাকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বিভিন্ন সময় দিনে ও রাতে ডেকে নিয়ে যেতো। সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করতো। ধর্ষণের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে গত কয়েক দিন পূর্বে চাচি ছকিনা খাতুন নামের ওই মহিলা সন্ধ্যা রাতে ডাকতে আসে। এসময় তাদের পিছু নিলে কিছুক্ষণ পরে তারা অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা হাতে নাতে দেখে। এই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপোশ মিমাংশের চেষ্টা চালায় ধর্ষক ফকির হবিবার।

ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্কুল ছাত্রী উপস্থিত হয়ে তার পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষকের সহযোগিতায় হারেজা খাতুন নামের এক মহিলাকে আটক করে। এসময় ফকির হবিবার ও সহযোগী ছকিনা খাতুন নামের ওই মহিলা পলাতক আছে।

ধর্ষণের ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে হাজেরা খাতুন নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

অক্টোবর ১০, ২০১৯ at ১১:৫০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআর/আজা