সিরাজগঞ্জে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ভূয়া ডাক্তার

সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর বাজারে যমুনা ডায়াগস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে ভূয়া ডাক্তারের সন্ধান মিলেছে। তার নাম মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি) (২৮)। সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইইনিয়নের বহুলী গ্রামের মো: মহির উদ্দিনের মেয়ে।

প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার খবর মিলছে। দেশজুড়ে এই অবস্থা এখন উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন ও ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখে কোন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিধান না থাকলেও এই ভূয়া ডা: মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি) ডাক্তার না হয়ে রোগী দেখেন প্রতিনিয়ত।

নিজেই “ডাক্তার” বলে সমেশপুুর বাজারে যমুনা ডায়াগস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানাগেছে। প্রশাসনের তদারকি না থাকার কারণে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন :
মুক্তিযোদ্ধা নুর বক্সসের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
আখ ক্ষেত থেকে কঙ্কাল উদ্ধার, স্যান্ডেল ও ছাতা দেখে পরিচয় সনাক্ত

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, “ডাক্তার” নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিগ্রি দেখিয়ে এলাকার অশিক্ষিত ও নিরীহ সাদাসিধে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি)। এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার ব্যবসা পরিচালনা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ভূয়া ডাক্তার পলি।

বিএমডিসির অ্যাক্ট-২০১০ সালে প্রকাশিত গেজেট এর ধারা ২২ (১) ও ২৯(১) এর আওতায় বলা আছে ন্যূনতম এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যতীত ও ছাড়পত্র ছাড়া কেউ “ডাক্তার” লিখতে পারবেন না। কিন্তু মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি)র ব্যাপারে তিনি একটু ভিন্ন। প্রকৃত ডাক্তার না হলেও এলাকার সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।

সমেশপুর বাজারের কয়েকজন ভুক্তভোগী রোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি) প্রায় দেড় বছর ধরে যমুনা ডায়াগস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতে ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে আসছে আমরা জানি। তিনি একজন ডাক্তার তাই তার কাছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে ভূয়া ডা: মোছাঃ পাপিয়া খাতুন (পলি)র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেড় বছর ধরে যমুনা ডায়াগস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতে ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। হাসপাতাল মালিক পক্ষ আমাকে যে ভাবে বলেছে আমি সেই ভাবে ডাক্তারি করছি।

পড়ালেখা সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি এইচএসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। পরে ২০১৩ সালে নাসিং ট্রেনিং নিয়েছি এর পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করে এখন এই হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে রুগির দেখছি।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, ন্যূনতম এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যতীত বা বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন ও ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবী লিখতে বা নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। এরপরও কোনো ব্যক্তি নামের আগে ডাক্তার লিখেন বা কোন রোগীকে চিকিৎসা দেন তাহলে তার হবে গুরুতর অপরাধ।

অক্টোবর ০৯, ২০১৯ at ২১:৪৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এআর/আজা