যশোরের চৌগাছা সরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটরের (ওটি) বাথরুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় যুবক যুবতীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আটক শহিদ পিয়াস ওরফে রনি আজম উপজেলার আজমতপুর গ্রামের কুব্বত আলীর ছেলে এবং সালমা খাতুন ভাদড়া গ্রামের কুব্বত আলীর মেয়ে।
সালমা খাতুন স্বামী পরিত্যাক্তা, তিনি চৌগাছা বাজারে বাসা ভাড়া করে থাকেন বলে জানা গেছে। হাসপাতালের রোগীর স্বজনরা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
সোমবার (০৭ সেপ্টম্বর) বেলা ২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। হাসাপাতালের ওটি ক্লিনার রেহেনা বেগম জানান, ওটির কাজ শেষ হলে আমি কিছুক্ষন পর মালামাল গোছানোর জন্য রুমে প্রবেশ করি।
এ সময় বাথরুমের দরজা বন্ধ দেখে অনেক চেষ্টা করেও খুলতে পারেনি। এসময় অন্য রোগীর স্বজনদের সহযোগীতায় বাথরুমের দরজা খুলে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে দেখতে পাই।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর স্বজনরা তাদের ধরে ফেলে। পরবর্তীতে দুই যুবক যুবতীকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সামনে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন :
দেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চাইলেন অর্থমন্ত্রী
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা বলেন, সোমবার হাসপাতালে ফ্যামিলিপ্লানিংয়ের ওটি শেষে স্টাফরা সেখান থেকে চলে যায়। বেলা ২টার দিকে কর্মচারীরা ওটি সামগ্রী গোছাচ্ছিলেন।
এসময় চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটের মধ্যে দুই যুবক যুবতীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে আমার অফিসে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে রোগি ও স্বজনদের চাপ বেশি, এরমধ্যে কোন এক সময়ে হয়ত তারা ওখানে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় মিলিত হয়।
চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাওছার আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে আমাদের হেফাজতে দিয়েছেন। আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
অক্টোবর ০৭, ২০১৯ at ২০:৪০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআই/আজা
