লালপুরে বন্যায় ৪ হাজারের অধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গবাদি পশুর

পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারনে নাটোরের লালপুরে বন্যায় ক্ষতির পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিলমাড়ীয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই ৩টি ইউনিয়নের পরে নতুন করে দুরদরিয়া ইউনিয়নে বেশ কিছু বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি আখ এবং শীতকালীন সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত স্থানীয় কৃষি বিভাগ ৪টি ইউনিয়নের মোট ৪ হাজারের অধিক কৃষককে ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় এনেছে। তবে চর ডুবে যাওয়ার খাদ্য না থাকার কারনে মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে গবাদি পশুর।

এদিকে, সরকারী ভাবে ১হাজার ২শ পরিবারের মাঝে ১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে লালপুর সদর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ শতাধিক পরিবারকে ১৫ কেজি করে ত্রাণের চাউল দেওয়া হয়।

লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েক দিনে বন্যার কারনে চারটি ইউনিয়নে আগাম ১হাজার ৩০৮ হেক্টর শীতকালীন সবজি ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন :
কোটচাঁদপুরে সাবেক পুলিশ কনস্টেবলের হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মোহাম্মদপুরে বিহারি ও পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৫০

এছাড়া এই চারটি ইউনিয়নে মোট ৩ হাজার ৫৩৮ হেক্টর আখ থাকলেও এর মধ্যে ১হাজার ৪০ হেক্টর আখ তলিয়ে গেছে। লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের বন্যার পানিতে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আমরা এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ ৪ হাজার ১৬৪ জন কৃষককে চিহ্নিত করেছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

আমরা অধিদপ্তরে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট প্রদান করছি। সরকার থেকে কোন বরাদ্দ পাওয়া গেলে তখন কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।

লালপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তালিকায় এখন পর্যন্ত ১২’শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এই ১২’শ পরিবারের মাঝে ১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রয়েছে শুকনা খাবার।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, এখন পর্যন্ত লালপুরের চারটি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আমরা শেল্টার সেল প্রস্তুতি রেখেছি, কেউ যদি আসতে চায়, আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত যে পরিমান ক্ষতি রয়েছে, সে দিক থেকে ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে।

অক্টোবর ০৫, ২০১৯ at ১৬:১৭:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আকে/এআর/আজা