কোটচাঁদপুরে সাবেক পুলিশ কনস্টেবলের হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তাজুল ইসলাম নামে সাবেক এক পুলিশ কনস্টেবল দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফিরোজ আলম নামের এক ভুক্তভোগী। ভূক্তভোগী মো. ফিরোজ আলম পৌর শহরের সলেমানপুর বাজারপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।

শনিবার (০৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে পৌর শহরের স্থানীয় পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর পূর্বপাড়ার পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলামের মেয়ে নিতুর সাথে আমার ছেলে মোঃ রাব্বি আলম ডিজুর বিবাহ হয়। বিবাহের পর তার গহনা, টাকা-পয়সা কোন কিছুর অভাব রাখিনি। তা সত্তেও আমার পুত্র বধু সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতে থাকে। প্রতি মুহুর্তে সে তার স্বামীর সাথে দূর্ব্যহার করতে থাকে।

আরও পড়ুন :
ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
দুই ইয়াবা সুন্দরী ১১ শ পিচ ইয়াবাসহ আটক

এমনকি শ্বশুর-শাশুড়ির সাথেও সে অকাথ্য ভাষায় গাল-মন্দ ও খারাপ আচরণ করতে থাকে । তার এইসব অকাথ্য ভাষায় গালা-গালি ও এমনকি পুত্র বধুর হাতের মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে। এতো কিছুর পরও তাকে মেয়ের মত ভালোবেসে আমরা সংসার টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে পুলিশের মেয়ে বিধায়, কথায় কথায় পুলিশের হুমকি দিয়ে থাকে।

পরবর্তিতে বাধ্য হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ১ লক্ষ ২০ হাজার কাবিনের টাকাসহ খোর-পোষের দাবি পরিশোধ করে তালাকনামা পত্র রেজিঃ ডাকযোগে প্রেরণ করি। যা তারা ১৬ সেপ্টেম্বর টাকাসহ তালাক নামা গ্রহন করে। এবং ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে কোটচাঁদপুর থানায় নারী নির্যাতন আইনে আমার ছেলেসহ পরিবারের ৭ জনের নামে মিথ্যা মামলা করেন।

বর্তমানে আমরা ৬ জন জামিনে মুক্ত থাকলেও আমার ছেলে রাব্বি আলম ডিজু জেল হাজতে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাকে পেন্ডিং মামলাসহ ফেনসিডিল, ইয়াবা মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওই পুলিশ কনসটেবল তাজুলই ইসলাম।

উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমি এবং আমার পরিবার এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবর ০৫, ২০১৯ at ১৭:৪৭:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএমআর/আজা