৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি, বন্যার আশঙ্কা!

ভারতের ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ায় নাটোরের লালপুরের পদ্মা নদীর সবকয়টি চরের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে পানি বন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের পদ্মার চরে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নিতে খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলি।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকালে লালপুর উপজেলার পদ্মার চর এলাকা ঘুরে জানাগেছে, ফারাক্কা বাঁধের সবকয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারনে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই লালপুরের পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারনে ৩টি ইউনিয়নের ৫-৭টি চরের সমস্ত ফসল তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়ি-ঘরে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা কৃষি বিভাগ ২২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর সুগার মিলটি চিনি উৎপাদনে যাবে। এই মিলের বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চর থেকে। কিন্তু মিল শুরুর আগ মূর্হুতে চরে থাকা ৪২ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এতে করে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ভুটিয়ারগাতি বাইপাস থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ইবিতে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে ‘জ্যোতির্মান’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন

লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, ‘পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিলমাড়ীয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রান চেয়ে চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ৫-৭টি চরে বসবাসকারী মানুষরা অন্যত্র সরে গেছে। কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে। আমরা তিনটি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি, সেখানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

নাটোর উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘লালপুরে পদ্মা নদীর পানি চারঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা বরাবর অবস্থান করছে। প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পিবদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।’

অক্টোবর ০১, ২০১৯ at ১৮:০৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এআর/কেএ