ভয়াবহ বন্যায় ভারতের চার রাজ্যে নিহত ১২০

টানা বৃষ্টিতে ভারতের বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার জেরে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২০ জন নিহতের খবর মিলেছে।

যার মধ্যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে নিহতের সংখ্যা সর্বাধিক। এরই মধ্যে বিহারে ২৭ জন ও উত্তরপ্রদেশে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যগুলোর বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।

ভারতের এই চার রাজ্য ছাড়াও ঝাড়খন্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের জলাধারগুলো থেকে পানি ছাড়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তবে এবারের বন্যায় ভারতে সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা বিহার রাজ্যে।

বিহারের পাটনাসহ অধিকাংশ জায়গায়ই বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাটনায় পানি ঢুকে গেছে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীসহ সাবেক দুই মন্ত্রীর বাড়িতেও। শুধু বিহারে এই পর্যন্ত বন্যার কবলে মৃত্যু ঘটেছে ২৭ জনের।

আরো পড়ুন:
রাবি ভিসির ‘জয় হিন্দ’ বক্তব্য প্রত্যাহার, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
প্রথম চুমুর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আলোচনায় কঙ্গনা

বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বন্যায় আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধারের জন্য ভারতের বিমানবাহিনীর কাছে আবেদন জানিয়েছে বিহার সরকার। এরই মধ্যে বিহারের বন্যা মোকাবিলায় নেমে পড়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

বিহারে ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিহার রাজ্যে আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার থেকে বিহারের পাটনায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাটনার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিহারের গঙ্গা, কোশী, গন্ডক, বাগমতী নদীর পানি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন, গঙ্গার পানি বেড়েই চলেছে। বৃষ্টি এখনো থামছে না। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। বন্যাদুর্গত এলাকায় সুপেয় পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে রেল পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে বিহারে। পাটনা স্টেশনে আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী। বন্যার কারণে ২৫টি ট্রেনকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্যার পানিতে বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলসেতুও। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবাও।

এর মধ্যেই বিহারের বিভিন্ন জায়গায় দেয়াল ও বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। গত রোববার টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মুম্বাই ও দিল্লি থেকে পাটনাগামী দুটি বিমানকে লক্ষ্ণৌ ও বারাণসীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ at ১২:৫৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এনটিভিও/এএএম