প্রতিপক্ষের হামলায় জন্মের পূর্বেই নবজাতকের মৃত্যু

মাদারীপুরের সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় জিতু আক্তার (২৫) নামে এক গর্ভবতীর পেটে থাকা নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার মস্তফাপুর উকিলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার মস্তফাপুর উকিলবাড়ি এলাকার শাজাহান হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার তার চাচাতো ভাই জহির হাওলাদারের কাছে একটি মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে লাভ দেয়ার কথা বলে টাকা ধার নেন। কিছুদিন পরে রাজু বন্ধক রাখার মূল টাকা জমা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নেন। কিন্তু লাভের টাকা দেননি।

এই লাভের টাকাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জহির হাওলাদার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ রাজুর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় রাজুর মা সাফিয়া বেগম, স্ত্রী গর্ভবতী জিতু আক্তার, ছোট ভাই জসিম হাওলাদার, নাছিম হাওলাদার আহত হন।

এদের মধ্যে সাফিয়া বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জসিম ও নাছিম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হামলায় গুরুতর আহত গর্ভবতী জিতু আক্তারকে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে রাতে সিজার অপারেশন করা হয়। এ সময় তার গর্ভে থাকা নবজাতকের মৃত সিজার অপারেশন হয়।

আরো পড়ুন:
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাসহ নিহত চার

রাজু হাওলাদার বলেন, হামলায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা গেছে। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহির হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইলেও পাওয়া যায়নি।

প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালের ডা. এলিজা বলেন, আমরা রাতে অপারেশন করে দেখি শিশুটি মারা গেছে। গর্ভবতী এ মহিলার পেটে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি সদর হাসপাতালে ও প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। গর্ভবতী মহিলা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় শিশুটি পেটেই মারা যায়। থানায় অভিযোগ দিলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯ at ২২:২৪:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/যু/এএএম