প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২০

মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপ সাবেক নৌ মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শাজাহান খান সমর্থিত এবং অপর গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ সমর্থিত।

শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজ শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার পর আনন্দ মিছিলে ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ হামলা চালায়। বিবাদমান দুই গ্রুপে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে প্রথমে ছাত্ররা থাকলেও এক পর্যায়ে শ্রমিকসহ আশে-পাশের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেশ কিছু গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত মশিউর রহমান নাহিদ ও শ্রমিক ফিরোজকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাকা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।

তবে আহতরা জানিয়েছে, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ২০ জনেরও বেশি ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়।

মাদারীপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পদ তানভীর তুহিন বলেন, আমার ভাই সাবেক এজিএস ও জেলা যুবলীগ নেতা নাহিদকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক জানান, ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে ছাত্র লীগের বহিষ্কৃত অবৈধ কমিটির নেতা ও তাদের সমর্থক শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে সাধারণ ছাত্রদের আহত করে।