বাস, ট্রাকের নির্ধারিত টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্তর্বর্তীকালীন এ নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করা হয়েছে। তাতে টার্মিনাল ছাড়া দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় বাস, ট্রাকসহ যন্ত্রচালিত সব পরিবহন থেকে এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে টোল আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দ্র নাথ সাহার করা এক রিট আবেদনে আদালত টোল আদায়সংক্রান্ত নির্দেশনা ও রুল জারি করেন। টোল আদায়ের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদনটি করা হয়। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু ও তানজীব রশিদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গতকাল জারি করা রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্থানীয় সরকার সচিব, সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের আইজি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে। অবৈধভাবে টোল আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিট আবেদনে জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ এলাকার সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের পরিবহন থেকে টোল আদায় না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা জারি করে। তা সত্ত্বেও টোলের নামে চাঁদা আদায় চলছে। প্রতি বাস বা ট্রাক থেকে ৪০-৫০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে। ইজারাদারদের মাধ্যমে টোল হিসেবে এটা নেওয়া হয়। অথচ বাস-ট্রাকসহ পরিবহনে চাঁদাবাজি সম্পূর্ণ বেআইনি। এই চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্রেতা, গ্রাহক বা যাত্রী হিসেবে সাধারণ মানুষকে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। এ কারণে রিট আবেদন বলে জানান আবেদনকারীর আইনজীবী।