আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেষ হয়েছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ দ্বিতীয় অধ্যায়। দেশ গঠনের তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনা ও উদ্যোগ ব্যবহার করার লক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর আওতাধীন দেশের শীর্ষস্থানীয় তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’ এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে এই স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) সকালে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও উদ্ধোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন,আইজিই এর সহকারী ম্যানেজার আনিচুর রহমান প্রমুখ। আয়োজনে সহায়তা করেন ইয়াং বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর তন্ময় সাহা টনি ও মারিয়া তানজীম।এছাড়াও সহযোগিতায় ছিলেন সিরাজুল, সাব্বির,অয়ন,হিমু, দূর্যয় প্রমুখ।
আরও পড়ুন :
মারা গেলেন সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট জ্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশীদ আসকারী বলেন, স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ যেখান থেকে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভাবক তৈরি করতে পারব।
আমরা উদ্যোগী উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারব। উদ্ভাবক ক্ষমতাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম তৈরি করতে পারব। যারা কেবল নিজেদেই উন্নয়নের ব্যাকুল থাকবে না, তারা তাদের সম্প্রদায়ের দেশ এবং পৃথিবীর উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকবে।
পিচ করা সব দুর্দান্ত স্টার্টআপ থেকে ৬টিকে বাছাই করা হয়। যারা জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোর সঙ্গে অংশ নেবে দেশসেরা হওয়ার লড়াইয়ে। পিচিং রাউন্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ কর্মসূচি।
জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ১৫ সেপ্টেম্বর ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের উদ্বোধন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প বা আইডিয়া প্রকল্প’ এবং সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর আওতাধীন দেশের শীর্ষস্থানীয় তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’ এর সহযোগিতায় এই উদ্যোগটি আয়োজিত হচ্ছে।
গতবারের মত এবারও শীর্ষ বাছাই ৭৫ স্টার্টআপ নিয়ে আয়োজিত হবে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ দ্বিতীয় অধ্যায়ের জাতীয় ক্যাম্প। সেখানে দেড় দিন ব্যাপী ওয়ার্কশপ শেষে আইডিয়া প্রকল্পের বাছাই কমিটির কাছে পিচ করবে এ সকল স্টার্টআপ।
সেখান থেকে শীর্ষ ৩০ এবং এই শীর্ষ ৩০ দল থেকে বিজয়ী ১০ স্টার্টআপ দল বাছাই করে তাদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেয়া হবে ১০ লাখ টাকার চেক।
অপর ২০ দলকে আরো প্রশিক্ষণ ও গ্রুমিং শেষে প্রস্তুত করে আবারো তার পিচ করার সুযোগ পাবে বাছাই কমিটির কাছে। সেখান থেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা স্টার্টআপগুলো ১০ লাখ টাকা করে পেয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার অন্যতম স্তম্ভ হল একাডেমিক শিক্ষাকে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ গুলোর সাথে যুক্ত করা। জাতীয় ভাবে ইনোভেশন কালচার ও অন্ট্রাপ্রেনরিয়াল সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ভিত্তি গঠন করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯ at ১৭:১২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তএইচ/আজা