নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ, ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিমূলতলা নামক স্থান থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে মূল হোতা দেলয়ারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার বিকালে সংঘটিত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি।

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পিয়ারাতলা নির্মানাধীন পলিটেকনিক্যাল কলেজপাড়ার মফিজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে নাজিম উদ্দিন বলেন,আমার বড় ভাইয়ের কন্যা নার্গিস(১৪) মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ অবস্থায় আমাদের প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের ছেলে দেলয়ার হোসেন(২০) আমার উক্ত ভাইজিকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে।

ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে তারা আমাদেরকে উল্টা বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ে ছোট হওয়ায় এবং লেখাপড়া করার কারণে আমরা বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। আমার ভাইজি নার্গিস নিয়মিত স্কুলে ও প্রাইভেট পড়া অব্যাহত রাখে।

নার্গিস প্রতিদিনের মত সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মনোহরপুর একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শিমুলতলা নামক স্থানে পৌছালে সেখানে পুর্ব থেকে ফাঁদ পেতে থাকা দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা নার্গিসকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে গেলে তাদের বাড়ীর লোকজন ঘটনাটি আমাদেরকে না জানিয়ে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন:
স্কুল ভিক্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে মামলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

ঘটনা জানার পর আমরা সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করি। কিন্তু কোথাও কোন সন্ধান পাইনি। এ ঘটনায় দেলোয়ারকে প্রধান আসামী করে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ঘটনার পর আমরা স্থানীয় ভাবে ব্যাপারটি নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু গত দু’দিনেও তারা মেয়েটিকে ফেরত না দিয়ে উল্টা নানা ভাবে ফঁন্দি-ফিকির শুরু করে।

মনোহরপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জাফিরুল ইসলাম জাফি বলেন, ঘটনার কথা শুনে আমরা ঘটনাটি আপস-মীমাংসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু দেলোয়ারের পরিবারের লোকজনের টালবাহানার কারণে শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনার ব্যাপারে ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধার করতে সব ধরণের চেষ্টা চলছে।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯ at ২৩:০১:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মোতার/এএএম