সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা ৬ শিশুসহ ৮ জন

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় আরো চারজনের লাশ উদ্বার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে।

আরো এক নারী ও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া ৩১ যাত্রীর ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

মঙ্গলবার রাতে চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। চার শিশু হলো রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের বাবুলের শিশুপুত্র শামীম (২) বদরুলের শিশু ছেলে আবির (৩), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে শিশু ছেলে আজম (২) এবং নোয়াগ্রামের আফজাল হোসেনের শিশু ছেলে সোহান।

পরে আরো চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলো মাছিমপুর গ্রামের জাসদের মেয়ে শান্তা মনি (৩), আরজ আলীর স্ত্রী রহিতুন্নেছা (৩৫), আফজাল হোসেনের ছেলে আসাদ (৫) এবং পেরুয়া গ্রামের নসীবুল্লার স্ত্রী করিমা বিবি (৭৮)।

আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ২৬, আহত ৩ শতাধিক
চা উৎপাদনে বিশ্ব রেকর্ড এবার বাংলাদেশের

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল।

নৌকায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। পথে কালিয়াকুটা হাওরের আইনুল বিলে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালান। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) বেলায়েত হোসেন জানান, ঝড়ের করলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় ছয় শিশুসহ আট জনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে।

হাওরে উদ্বার অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২১ জনকে জীবিত উদ্বার করা হয়েছে। আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯ at ১৩:০৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এটিভিও/এএএম